রাজধানীর দক্ষিণখানে স্বামীর বাড়ির আঙিনা থেকে কানাডাপ্রবাসী আফরোজা বেগমের (৩৬) মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাঁর ছোট ভাই আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে দক্ষিণখান থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় পরস্পর যোগসাজশে পরিকল্পিতভাবে হত্যা ও হত্যায় সহযোগিতা এবং হত্যার পর লাশ ঘুমের অভিযোগ আনা হয়। নিহতের দ্বিতীয় স্বামী আশরাফুল আলমকে (৪৮) প্রধান আসমি করে পাঁচজনের নামে মামলা দেওয়া হয়।
মামলার পরপরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক হওয়া চারজন ওই নারীর স্বামী আশরাফুল আলমের বাবা শামছুদ্দিন আহম্মেদ (৭৯), ভাই সজীব আলম (৪৪), ভাইয়ের স্ত্রী তাহমিনা বাসার (৪২) ও খালা পান্না চৌধুরীকে (৫২) গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। যদিও মূল হোতা আশরাফুল আলম কানাডায় পলাতক রয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার রাতে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন দক্ষিণখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোসাম্মাত রেজিয়া খাতুন।
নিহত ওই নারী হলেন নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার নীজভোগডাবুড়ি গ্রামের মো. আতাউল্লাহ মণ্ডলের মেয়ে। আশরাফুল ছিলেন তাঁর দ্বিতীয় স্বামী। আফরোজা বেগমের প্রথম সংসারে এক ছেলে (অন্তু ২৩) ও এক মেয়ে (অন্নেছা ১৬) রয়েছে। নিহত নারী, ঘাতক স্বামী ও নিহতের দুই সন্তান কানাডার সিটিজেন।
দক্ষিণখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজিয়া খাতুন বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হবে। সেই সঙ্গে মূল আসামি আশরাফুল আলমকে গ্রেপ্তার করতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা নেওয়া হবে।’