চাঁদার দাবিতে সাভারের এক মুক্তিযোদ্ধা নার্সারিতে তালা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। রোববার (১৬ এপ্রিল) রাতে ভুক্তভোগী নার্সারির তত্ত্বাবধায়ক মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম তালুকদার আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত শনিবার (১৫ এপ্রিল) নার্সারির গেটে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তালা মেরে দেয়। পরে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বললে কোনো টাকা ছাড়াই তারা তালা খুলে দেয়।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, শাহ পরান, মো. হাসান মাহমুদ ফরিদ ও আবদুল্লাহ আল ফারুক ইমরান। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন আবাসিক হলে থাকেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৯ এপ্রিল থেকে কয়েক দিন গেটে তালা মেরে রাখেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা। একপর্যায়ে কোনো টাকা না নিয়েই তালা খুলে দেন তাঁরা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জমা পড়েনি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা কোনো চাঁদাবাজি করতে সেখানে যাইনি। নার্সারির মূল মালিক হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কর্মকর্তা নূরুল আমিন। তার কাছ থেকে কিছু টাকা বকেয়া ছিল। সে ব্যাপারে কথা বলতে গিয়েছিলাম। আমরা বকেয়া টাকা পরিশোধ করার কথা বলেছি। কিন্তু কোনো চাঁদা দাবি করিনি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘তালা ঝোলানো কিংবা খোলার বিষয়টি আমি অবগত নই। তবে ওই নার্সারির তত্ত্বাবধায়কের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় ও মূল মালিকের পাওনা নিয়ে দুই পক্ষই আমার কাছে এসেছিল। পরে নিজেরা কথা বলে তারাই বিষয়টি সমাধান করেছে।’
এদিকে এস্টেট অফিসের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান ডেপুটি রেজিস্ট্রার নূরুল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ছাত্রলীগের কোনো নেতাকে আমি আমার বকেয়া টাকা আদায় করতে বলিনি। তাদের কয়েকজন এসে আমাকে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করেছে, যেন নার্সারির লিজ অন্যজনের নামে লিখে দেওয়া হয়।’