রাজধানীর গুলিস্তানের ভবনে আজ মঙ্গলবার বিকেলে পর পর দুটি বিস্ফোরণ হয়। এই ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল বাড়ছেই। রাত পৌনে ৮টা নাগাদ নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ জনে দাঁড়ায়।
গুলিস্তান বিআরটিসি বাস স্ট্যান্ডের পাশে বহুতল ভবনে এ বিস্ফোরণ ঘটে। হাসপাতালে এখন মোট ১৫ জনের মরদেহ রয়েছে। কাউকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। কেউ চিকিৎসাধীন অবস্থায় খুব কম সময়ের মধ্যেই মারা গেছেন।
অর্ধশতাধিক আহত ব্যক্তিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে বহুতল ভবনটিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্মকমিশনার (ক্রাইম) বিপ্লব কুমরা সরকার বলেন, ভবনের বেজমেন্ট ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সাত তলা ভবনের প্রতিটি তলায় ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। অনেকেই আটকা থাকতে পারেন বলে ফায়ার সার্ভিসের ধারণা।
বিস্ফোরিত ভবনের ডান পাশের ভবনের নিচতলায় স্যানিটারির দোকান, দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের গুলিস্তান শাখার কার্যালয়। এই ভবন থেকেও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বিস্ফোরিত ভবনের বামপাশের সাত তলা ভবনটি তুলনামূলক কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেটির কাঁচের জানলা ভেঙে পড়েছে। ভবন তিনটি থেকে সবাইকে সরিয়ে নিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। বর্তমানে প্রতিটি তলায় তল্লাশি করা হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, বিস্ফোরিত ভবনটি এখন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। এই মুহূর্তে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া ভেতরে অভিযান চালানো ঠিক হবে না। বিশেষশজ্ঞ প্রকৌশলী আসার পর ফের উদ্ধার অভিযান শুরু হবে।
উদ্ধার অভিযানে সেনাবাহিনীও যোগ দিয়েছে। ঘটনার পর পুরো গুলিস্তান ও সিদ্দিক বাজার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।