রাজধানী বাড্ডার একটি বাসা থেকে সোহেলী আক্তার সুইট (২২) নামে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন স্বজনেরা। মৃত সোহেলী আক্তার সুইট অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
আজ মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে দক্ষিণ বাড্ডার বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে বাড্ডা থানা-পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মামুন মৃধা জানান, এক মাস আগে বাড্ডায় বড় বোনের বাসায় বেড়াতে আসেন সুইট। এক ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে খাওয়া-দাওয়া করে সুইট নিজের রুমে ঘুমাতে যান। পরে মোবাইল ফোনে সেই ছেলের সঙ্গে তাঁর রাগারাগি হয়। এরপর রুমের দরজা বন্ধ করে নিজের পরিহিত ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেন তিনি। স্বজনদের মাধ্যমে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঢাকা মেডিকেলে সুইটের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মৃত সুইটের ভগ্নিপতি গোলাম রব্বানী জানান, সুইটের বড় বোন চাকরি করায় তাঁর বাচ্চাকে দেখাশোনা করতে এক মাস আগে ঢাকায় আসেন সুইট। যশোর এমএম কলেজে অনার্সে পড়তেন তিনি। সোমবার রাতে যে যার রুমে ঘুমাতে যান। এরপর রাত ৩টার দিকে বড় বোনের মোবাইলে ফোন করে এক ছেলে জানায়, সুইটের রুমে গিয়ে দেখতে সে কী করছে। তখন তাঁরা তাঁর রুমের দরজা বন্ধ পেয়ে জানালা দিয়ে লাইট জালিয়ে দেখেন, ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন সুইট। তখন তাঁরা দরজা খোলার চেষ্টা করেন এবং থানায় খবর দেন।
গোলাম রব্বানী আরও জানান, ৩-৪ বছর ধরে এক ছেলের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। বিয়ের কথাও হচ্ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, রাতে ওই ছেলের সঙ্গে রাগারাগির পর গলায় ফাঁস দেন সুইট।