মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শরীফুলকে হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায় স্থগিত করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এই আদেশ দেন। তবে তাকে কনডেম সেল থেকে সাধারণ সেলে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে ৩ কেজি ৭০০ গ্রাম হিরোইনসহ শরীফুলকে আটক করে বিজিবি। পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়। ওই মামলায় ২০১৭ সালে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। পাঠানো হয় কনডেম সেলে। এরপর মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য মামলার নথি ‘মৃত্যুদণ্ডাদেশের অনুমোদন’ আকারে পাঠানো হাইকোর্টে। পাশাপাশি জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল করেন শরীফুল।
এদিকে শুনানি শেষে বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১২ সেপ্টেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশের অনুমোদন খারিজ করে রায় দেন। সেই সঙ্গে সাজা পরিবর্তন করে ১০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। যেহেতু এরই মধ্যে আসামি ১০ বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে আছে তাই তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২৫ গ্রামের বেশি হেরোইন হলে আইনে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান আছে। এর বিকল্প সাজার বিধান নেই। এখানে ৩ কেজি ৭০০ গ্রাম হিরোইন। তাই ১০ বছরের সাজা আইন সঙ্গত নয়। রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল করলে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করা হয়েছে।