জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাসকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই নির্দেশ দেন।
মাসুদ বিশ্বাসকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাঁর উপস্থিতিতে শুনানির পর আদালত রিমান্ড না মঞ্জুর করেন এবং জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদে নির্দেশ দেন।
দুদকের বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ১৮ জানুয়ারি মাসুদ বিশ্বাসকে ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হলে মহানগর হাকিম মাসুমা রহমান তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অন্যদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে গত ১৯ জানুয়ারি আদালত রিমান্ড শুনানির জন্য আজ রোববার দিন ধার্য করেন।
এর আগে ১৭ জানুয়ারি রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহযোগিতায় দুদক কর্মকর্তাদের একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে। গত ২ জানুয়ারি মাসুদ বিশ্বাসের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত এক কোটি ৪৭ লাখ ৭২ হাজার ৬২২ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় ওই মামলা দায়ের করা হয়।
একই সঙ্গে মাসুদ বিশ্বাসের স্ত্রী কামরুন নাহারের নামে ৭২ লাখ ৫৬ হাজার ৯৯৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্য পাওয়ায় কমিশন থেকে দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৬ (১) ধারায় তাঁর সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারি করা হয়।
অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে ‘অঢেল সম্পদ ও অর্থপাচারের’ অভিযোগ থাকায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের কথা জানায় দুদক। কমিশনের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দলকে এই অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।