Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > ঢাকা

আদালতে না তুলে কারাগারে ফেরানো হলো সাত খুনের আসামি নূর হোসেনকে

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

আদালতে না তুলে কারাগারে ফেরানো হলো সাত খুনের আসামি নূর হোসেনকে

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও অস্ত্র আইনের দুই মামলায় আলোচিত সাত খুন মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর হোসেনকে কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জে আনা হলেও আদালতে তোলা হয়নি।

আজ বৃহস্পতিবার কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে নিয়ে আসা হয় নূর হোসেনকে। আদালতে দুটি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষী না আসায় আদালতে তোলা হয়নি।

আদালত আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা নূর হোসেনকে কাশিমপুর কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখার আবেদন করেন আদালতের কাছে।

নূর হোসেনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘নূর হোসেনকে আজ বৃহস্পতিবার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নারায়ণগঞ্জ কারাগারে আনা হয়েছিল। কিন্তু সাক্ষীরা না আসায় আদালত নতুন তারিখ ধার্য করেছেন।

‘আমরা আদালতের কাছে আবেদন করেছি তাঁকে যেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। কারণ কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জ নিয়ে আসতে অনেক সময় লেগে যায়। আমরা আবেদন করেছি সেটা আদালত বিবেচনা করবেন।’

একই বিষয়ে আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জাসমিন আহমেদ বলেন, ‘গত ২৯ সেপ্টেম্বর দুইটি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। সেদিন সাক্ষীরাও এসেছিলেন। কিন্তু নূর হোসেন তখন অসুস্থ থাকায় তাঁকে আদালতে আনা হয়নি। সে কারণে সেদিন সাক্ষ্যগ্রহণও হয়নি। 

আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, ২০১৪ সালের ২৯ মে নূর হোসেনের বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছিল। সেই মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের শুনানি শেষে আদালত চার্জ গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। বর্তমানে এই দুই মামলার বিচার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের লামাপাড়া এলাকায় র‍্যাবের সদস্যরা চেকপোস্ট বসিয়ে কাউন্সিলর নজরুলের গাড়ি থামান। র‍্যাব গাড়ি থেকে নজরুল, তার তিন সহযোগী ও গাড়িচালককে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন আইনজীবী চন্দন সরকার। অপহরণের বিষয়টি দেখে ফেলায় তাঁকে এবং তার গাড়িচালককেও র‍্যাব তুলে নিয়ে যায়। ওই রাতেই সবাইকে হত্যা করা হয়। এরপর পেট কেটে এবং ইটের বস্তা বেঁধে সবার মরদেহ শীতলক্ষ্যা নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়। ৩০ এপ্রিল ছয়জন এবং পরদিন একজনের মরদেহ ভেসে ওঠে।

ঘটনার একদিন পর কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা (পরে বহিষ্কৃত) নূর হোসেনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন। আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় ১১ মে একই থানায় আরেকটি মামলা হয়। এ মামলার বাদী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল। পরে দুটি মামলা একসঙ্গে তদন্ত করে পুলিশ।

২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালত দুই মামলার রায় দেন। রায়ে র‍্যাবের সাবেক ১৬ কর্মকর্তা-সদস্য এবং নারায়ণগঞ্জের সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেন ও তার অপরাধজগতের নয় সহযোগীসহ মোট ২৬ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া র‍্যাবের আরও নয় সাবেক কর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বিচারিক আদালতের রায়ের পর সাজা পাওয়া আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন।

২০১৭ সালের ২২ আগস্ট হাইকোর্ট কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‍্যাব-১১ এর সাবেক অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, সাবেক র‍্যাব কর্মকর্তা আরিফ হোসেন, মাসুদ রানাসহ ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। একই সঙ্গে নিম্ন আদালতে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া নিম্ন আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত নয়জনের দণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ভবানী প্রসাদসিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

উচ্চ আদালত বলেন, ‘আসামিরা যে ধরনের অপরাধ করেছে, যদি তারা ছাড়া পেয়ে যায় তাহলে বিচার বিভাগের প্রতি জনগণ আস্থাহীনতায় ভুগবে’।

বিক্ষোভের ডাক হিজবুত তাহরীরের, তাদের সব কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলল পুলিশ সদর দপ্তর

সিদ্ধিরগঞ্জে লেকের পানিতে ভাসছিল যুবকের মরদেহ

নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের তিন সদস্য গ্রেপ্তার

দাগি অপরাধী গ্রেপ্তার নেই, উদ্ধার বেশি রড-লাঠি

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ছেলের মৃত্যু টাকার লোভে আন্দোলনে হত্যার মামলা বাবার

আমন সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রার ১০ শতাংশের কম

ঢাবি ছাত্রীকে যৌন হেনস্তাকারীর পক্ষে নামা ‘তৌহিদী জনতার’ আড়ালে এরা কারা

ইফতার ঘিরে মিলনমেলা

আতঙ্কের নাম গ্যাস বিস্ফোরণ

ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তাকারীর জামিনে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা, চাকরিতে বহাল করলে ক্লাস বর্জনের হুঁশিয়ারি