বাবা-মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী খালিদ আনোয়ার সাইফুল্লাহ। আজ মঙ্গলবার জোহরের নামাজের পর গোপালগঞ্জ শহরের এস এম মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা হয়। পরে শহরের পুরোনো পৌর কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
খালিদের চাচাতো ভাই নোমান হোসেন তমাল আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মৃত্যুর পর রাত ১১টার দিকে ঢাকার গ্রিন রোড জামে মসজিদে খালিদ আনোয়ার সাইফুল্লাহর প্রথম জানাজা হয়। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাঁর লাশ গোপালগঞ্জ শহরের চৌরঙ্গী-পাবলিক রোডের ইসহাক কমপ্লেক্সের নিজ বাসায় আনা হয়। ভোর থেকে হাজারো ভক্ত, অনুরাগী, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষীসহ সাধারণ মানুষ তাঁকে একনজর দেখতে ছুটে আসেন।
নোমান হোসেন তমাল আরও বলেন, জোহরের নামাজ শেষে জেলা শহরের এস এম মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে খালিদের দ্বিতীয় জানাজা হয়। পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। জানাজায় জেলা প্রশাসন, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, খালিদের বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী, ভক্তরাসহ হাজারো মানুষ অংশ নেয়। বেলা পৌনে ২টার দিকে শহরের পুরোনো পৌর কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর গ্রিন রোডের বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েন এই ব্যান্ডশিল্পী। তখন তাঁকে পাশের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬৫ সালের ১ আগস্ট গোপালগঞ্জ শহরে জন্মগ্রহণ করেন খালিদ আনোয়ার সাইফুল্লাহ। তাঁর বাবা হেমায়েত উদ্দিন আহমেদ ও মা আনোয়ারা বেগম। সাত ভাইবোনের মধ্যে খালিদ ছিলেন সবার ছোট। ১৯৮১ সালে গানের জগতে যাত্রা শুরু করেন খালিদ। ১৯৮৩ সালে যোগদান করেন ‘চাইম’ ব্যান্ডে। একের পর এক হিট গান উপহার দিয়ে স্বল্প সময়ে খ্যাতির চূড়ায় ওঠেন তিনি।
খালিদের স্ত্রী শামিমা জামান ও একমাত্র ছেলে জুয়াইফা আরিক যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে থাকায় তাঁর দাফনে উপস্থিত হতে পারেননি।