ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক কমান্ডার হানিফ আলীসহ তিনজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল সোমবার রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন, হরিণাকুণ্ডু উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আবু সাঈদ (৩৯) এবং হরিণাকুণ্ডু জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের আনারুল ইসলাম (৩৬)। ঝিনাইদহ জেলা শহরের সার্কিট হাউস এলাকা এবং গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-৬ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর নাঈম আহমেদ আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির কমান্ডার হরিণাকুণ্ডুর আহাদনগর গ্রামের হানিফ আলী, শ্রীরামপুর গ্রামের লিটন ও কুষ্টিয়ার পিয়ারপুরের রাইসুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় শৈলকুপা থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়।
নাঈম আহমেদ আরও বলেন, মামলার আসামি আবু সাঈদকে গতকাল রাতে জেলা শহরের সার্কিট হাউস এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তা ছাড়া র্যাবের পৃথক দল গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সোনাতলা এলাকা থেকে আনারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। দুজনকে শৈলকুপা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে হানিফ আলীর ছোট ভাই হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সাজেদুর রহমান এশা বলেন, ‘র্যাব দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানতে পেরেছি। এর মধ্যে আনারুল অস্ত্র, হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় ২২-২৩ বছর জেল খেটে তিন মাস আগে বের হন। ঝিনাইদহ শহরের খাজুরা এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকতেন তিনি। ধারণা করছি, আমার ভাইয়ের হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী সে।’
গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে শৈলকুপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর ত্রিবেণি শ্মশান খাল এলাকায় দুই সহযোগীসহ সন্ত্রাসীদের গুলিতে খুন হন হানিফ আলী। নিহত অন্য দুজন হলেন তাঁর শ্যালক লিটন হোসেন ও কুষ্টিয়ার ইবি থানার পিয়ারপুর গ্রামের রাইসুল ইসলাম রাজু। রাতেই হত্যার দায় স্বীকার করে চরমপন্থী সংগঠন জাসদ গণবাহিনীর নেতা কালু পরিচয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে মেসেজ পাঠানো হয়। যদিও এ বার্তা নিয়ে পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ধোঁয়াশা তৈরি কর। গতকাল সোমবার সকালে নিহত হানিফের ভাই বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।