কাজী শামিম আহমেদ, খুলনা
খুলনা সিটি করপোরেশনের (খুসিক) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের বাড়ি ভাঙচুর ও মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এতে কোটি টাকার ওপরে ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। নগরীর মুন্সীপাড়ার বিলাসবহুল এ ভবনটি এখন ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার গিয়ে দেখা যায়, সিটি করপোরেশনের একজন দারোয়ান দাঁড়িয়ে আছেন। ভবনের ভেতরের চিত্রটি ভয়াবহ। ভবনের নিচতলায় গাড়ি পাকিং, দ্বিতীয় তলায় মেয়রের ব্যক্তিগত অফিস এবং তৃতীয় তলায় তারা বসবাস করতেন।
দোতলা এবং তিনতলার দুটি ফ্ল্যাট একসঙ্গে করে করা। ফ্ল্যাটের প্রতিটি রুমে ধ্বংসস্তূপ। ফ্লোরে পড়ে রয়েছে অসংখ্য কাচের টুকরা, ভাঙচুর করা আসবাবপত্র ও কাগজপত্র। আলমারি ভেঙে অর্থ, সোনাদানা লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। টিভি, ফ্রিজ, এসি, খাট, ওয়াশিং মেশিন, ফ্যান, বিছানাপত্র কিছুই নেই। জানালার গ্রিলও কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
বাড়ির দারোয়ান শওকত আলী বলেন, ‘রবি ও সোমবার দুই দফায় মেয়রের বাসভবনে হামলা হয়। প্রথম দিনে ব্যাপক ভাঙচুর হলেও লুটতরাজ কম হয়েছে। দ্বিতীয় দিন বিকেলে আবার হামলা হয়। গভীর রাত পর্যন্ত লুটতরাজ চলে। সব নিয়ে গেছে কিছুই নেই।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বাসিন্দা বলেন, ‘লুণ্ঠনকারীদের একটি বড় অংশ মালামাল বের করে কাষ্টমঘাটে বেঁধে রাখা ট্রলারে করে রূপসা নদীর ওপারে নিয়ে গেছে। কিছু টোকাই বিভিন্ন মালামাল মাথায়, রিকশা ও ভ্যানযোগে নিয়ে যায়। ভবনে হামলার আগে মেয়র ও তার স্ত্রী আত্মগোপনে চলে যান। তাদের আর দেখা যায়নি।’
এর আগে ১৯৯১ সালেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার স্ত্রী হাবিবুন নাহার ২০০৮ ও ২০১৮ সালের উপ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বাগেরহাট-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চতুর্থবারের মতো বাগেরহাট-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।