সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরা শহরে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণীকে হাতুড়ির আঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। তাঁকে গণপিটুনি দিয়ে র্যাবের হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। আজ শনিবার সকালে সদর উপজেলার থানাঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত চুমকি খাতুন (২০) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার থানাঘাটা গ্রামের ভ্যানচালক রেজাউল ইসলামের মেয়ে এবং সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মোড় এলাকার খাতিমুন্নেসা হানিফ লষ্কর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ভকেশনাল নবম শ্রেণির ছাত্রী।
আর আটক ইলিয়াস হোসেন (৩০) থানাঘাটা গ্রামের পরিবহন সুপারভাইজার একরামুলের ছেলে।
নিহত চুমকির বাবা রেজাউল ইসলাম জানান, সকাল ৯টার দিকে চুমকি গান গাইতে গাইতে খাবার কিনতে বাড়ির পাশের একটি মুদি দোকানে যাচ্ছিল। এ সময় মাদকাসক্ত যুবক ইলিয়াস হোসেন তাকে মাথার পেছন দিক থেকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
প্রতিবেশী বাবলুর রহমান বলেন, মাদকাসক্ত হওয়ায় কয়েক মাস আগে ইলিয়াসের বউ তাঁকে ছেড়ে চলে যায়। এরপর থেকে চুমকিকে সে প্রায়ই কুপ্রস্তাব দিত। প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় ক্ষোভে আজ ইলিয়াস চুমকিকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা ইলিয়াসকে মারধর করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে র্যাবকে খবর দেয়। খবর পেয়ে র্যাব সদস্যরা তাকে আটক করে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
সাতক্ষীরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় ইলিয়াসসহ তাঁর মা ও বাবাকে আসামি করা হয়েছে।