সাতক্ষীরার পাটকেল ঘাটায় অন্য বছরের তুলনায় এবার পাটের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। এ বছর পাট চাষের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমি। কিন্তু পাটের ফলন ভালো না হওয়ায় কৃষকেদের অনেকে লোকসানের শঙ্কায় আছেন।
বেশ কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, গত দুই বছর বাজারে পাটের দাম ভালো ছিল। এতে তাদের লাভও ভালো হয়েছে। যে কারণে অনেক কৃষকই চাষের জমির পরিমাণ বৃদ্ধি করেছেন। পাটকেল ঘাটার শহিদুল গাজী জানান, এ মৌসুমে তিনি ৪ বিঘা জমিতে তোষা জাতের পাট চাষ করেছেন। গত বছর তিনি পাট আবাদ করেছিলেন ৩ বিঘা জমিতে। সব মিলে বিঘাপ্রতি তার ৯ হাজার টাকার বেশি উৎপাদন খরচ হতে পারে। তবে গত মৌসুমে পাট উৎপাদন করে তাঁর লাভ হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
একই গ্রামের কৃষক শফিদুল ইসলাম জানান, তিনি ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি পাট চাষ করে আসছেন। এ বছরও তিনি ২ বিঘা জমিতে তোষা জাতের পাট আবাদ করেছেন। কিন্তু অন্য বছরের তুলনায় ফলন কম হওয়ায় হতাশ তিনি। তার ওপর বর্তমানে পাটের বাজার দর কম ২ হাজার থেকে ২২ শ টাকায় মন বিক্রি হচ্ছে। এতে বর্গাচাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানান তিনি।
সাতক্ষীরা জেলা পাট অধিদপ্তরের মুখ্য পরিদর্শক আশিষ কুমার জানান, জেলায় অন্য বছরের তুলনায় ২০ ভাগ বেশি জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। এ এলাকার কৃষকেরা অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি কমবেশি পাট চাষ করেন। গত তিন-চার বছরের তুলনায় এ বছর উৎপাদন লক্ষ্যও বেশি ছিল। এবার জেলায় তোষা, ফাল্গুনী, মেসতা, গুটি ও স্থানীয় জাতের পাট চাষ করা হয়েছে। তবে স্থানীয় জাতের থেকে এ অঞ্চলে তোষা জাতের পাটের উৎপাদন ভালো হয়। তোষা জাত থেকে হেক্টরপ্রতি গড়ে ১৩ থেকে ১৪ বেল পর্যন্ত পাট পাওয়া সম্ভব।