বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে পেট্রাপোলে অবরোধ করেছে ভারতীয় জানতা পার্টি (বিজেপি। তবে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় দুই দেশের সীমান্ত পরিষেবা চালু ছিল।
আজ সোমবার দুপুরে ভারতের পেট্রাপোল এলাকায় সমাবেশ করে বিজেপি সমর্থকেরা। এতে বক্তব্য দেন বিজেপি নেতা ও রাজ্যের বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরে শূন্য রেখায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তাঁরা।
এ সময় সীমান্তের জিরো পয়েন্টের কাছে কোনো বিক্ষোভকারীকে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী ছাড়াও রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকেও সীমান্তজুড়ে নেওয়া হয়েছিল বাড়তি সতর্কাবস্থা।
এর আগে গত বুধবার গ্রেপ্তার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে মুক্তি না দিলে আজ থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি–রপ্তানি ও চিকিৎসাসেবা বন্ধ করা হুমকি দেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ভারতফেরত পাসপোর্টধারী শাহাবুদ্দীন জানান, ভারতের কিছু মানুষ পশ্চিমবঙ্গের বনগা শহরে মাইকিং করে বাংলাদেশিদের হোটেলে থাকা বন্ধ করতে মালিকদের চাপ প্রয়োগ করেছে।
এতে সাধারণ বাংলাদেশিদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক ছড়ালে অনেকে দেশে ফিরে আসছেন। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো বাধা সৃষ্টি করা হয়নি। ফলে পাসপোর্টধারীরা সেখানে অবস্থানে সহযোগিতা পেয়েছেন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘পেট্রাপোল সীমান্তে সকাল থেকে সভা–সমাবেশ চলছে জানতে পেরেছি। তবে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ এমন কোনো নির্দেশনা দেয়নি যে পাসপোর্টধারী যাতায়াত বন্ধ রাখবে। ফলে যাত্রীর সংখ্যা কম হলেও দুই দেশের মধ্যে যাত্রী চলাচল এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর পর থেকে তাঁর মুক্তির দাবিতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সংগঠন বাংলাদেশিদের ভিসা, চিকিৎসাসেবা ও দুই দেশের মধ্যে আমদানি–রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ করতে ভারত সরকারকে চাপ প্রয়োগ করে।