Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > খুলনা

ছাপাতে বিলম্ব, ১ জানুয়ারি হচ্ছে না বই উৎসব

খুলনা প্রতিনিধি

ছাপাতে বিলম্ব, ১ জানুয়ারি হচ্ছে না বই উৎসব
রোববার খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে মতবিনিময় সভা করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। ছবি: সংগৃহীত

বই ছাপাতে বিলম্ব হওয়ায় ১ জানুয়ারি বই উৎসব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। তবে প্রাথমিকের নতুন বই জানুয়ারির মধ্যেই বিতরণ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আজ রোববার সকালে খুলনার বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

বিলম্বের কারণ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘নতুন পাঠ্যপুস্তকে থাকছে জুলাই-আগস্টের ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি। যেহেতু বাইরের একটি দেশে বই ছাপার কথা ছিল। ৫ আগস্টের পরে সেই টেন্ডার বাতিল করে নতুন টেন্ডার আহ্বানের ফলে বই ছাপাতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। এ জন্য বই বিতরণে কিছুটা দেরি হলেও প্রাথমিকের বই জানুয়ারির মধ্যেই বিতরণ করা সম্ভব হবে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থীদের ওপরে কিছুটা বাড়তি চাপ পড়বে, এটি ঠিক। এটি মেনে নিতে হবে। তার কারণ গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী দেশে সকল ক্ষেত্রেই একটি প্রভাব পড়ে। যেটি শিক্ষা ক্ষেত্রেও পড়েছে। এটি মেনে নিয়েই আমাদের সামনে এগোতে হবে।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যে সকল বিদ্যালয়গুলোতে খুব কমসংখ্যক শিক্ষার্থী আছে, সেগুলোকে পার্শ্ববর্তী স্কুলের সঙ্গে একীভূত করার চিন্তা রয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আগের মতো কোটা না রাখার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সাধারণভাবে অন্য চাকরিতে যেমন ৭ শতাংশ কোটা রয়েছে, এখানেও তেমনটি থাকবে। তবে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও গণিতে দক্ষ করে তুলতে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মোট নিয়োগের ২০ শতাংশ গণিত ও বিজ্ঞানের বিষয়গুলো থেকে পাস করাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। গাইড বই ও প্রাইভেট কোচিংয়ের বিষয়টি নিরুৎসাহিত করতে হবে। শহরাঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর অবকাঠামো প্রকল্পের মাধ্যমে দৃষ্টিনন্দন করার কাজ চলমান আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল চালু হবে। যা আগামী বছরই প্রকল্প আকারে চালু হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়াতে কেবল বাংলাদেশে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ সবচেয়ে কম, বাজেটের মাত্র ২ শতাংশ। কিন্তু ইউনেসকোর মতে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাজেটের ৬ শতাংশ হওয়া উচিত। শিক্ষকদের আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদার উন্নতি ঘটানো এখন সময়ের দাবি। প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্যই হলো শিশুদের অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন করে গড়ে তোলা। একই সঙ্গে তাকে ভাষাজ্ঞানে ও গণিতে দক্ষ করা। পড়তে পারা মানুষের সামনে বিশ্বের জ্ঞানরাজ্যের দ্বার খুলে যায়। যার সূচনা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই হয়।’

খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ ফিরোজ সরকার। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আতিকুর রহমান। সভায় স্বাগত বক্তব্য ;দেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সার্বিক হোসাইন শওকত।

সভায় খুলনা বিভাগের ১০ জন জেলা প্রশাসক, প্রতিনিধি এবং বিভাগীয় পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলোর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দুই রোগীর মৃত্যুতে তদন্ত কমিটি, ক্লিনিক সিলগালা

চুয়াডাঙ্গায় চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার না হওয়ায় এসপি অফিসের সামনে অবস্থান

ঘুষি মেরে ট্রাফিকের নাক ফাটানো ছাত্রদল নেতা কারাগারে

স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে মাগুরা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

ইবিতে পরীক্ষা দিতে এসে ছাত্রলীগের দুই নেতা আটক

খুলনায় কসাইকে কুপিয়ে হত্যা: একদিন পর অভিযুক্ত কসাইয়ের লাশ মিলল নদীতে

ঘুষি মেরে পুলিশ সদস্যের নাক ফাটানোয় ছাত্রদল নেতা আটক

যবিপ্রবিতে বঙ্গবন্ধু একাডেমিক ভবনসহ ৫ স্থাপনার নতুন নামকরণ

রাতে স্বামীর জন্মদিন উদ্‌যাপন, সকালে নদীতে মিলল নববধূর লাশ

সালিসে হাতাহাতিতে আহত কৃষকের মৃত্যু, সাবেক সেনাসদস্য আটক