সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘মহানবী (সা.) সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ কাজেও নারীদের যুক্ত করেছেন। যুদ্ধক্ষেত্রে নারীদের যুক্ত করেছেন। তাই আমরা তাঁদের আটকে রাখার কে? তাঁরা সামর্থ্য অনুযায়ী দেশের জন্য আত্মনিয়োগ করবেন। তাঁদের পোশাক নিয়ে আমরা বাধ্য করব না। তাঁরা ইচ্ছামতো পোশাক পরতে পারবেন।’
আজ শনিবার বিকেলে সাতক্ষীরা সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে দলের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের আমির এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দেশ। আমরা এমন বাংলাদেশ চাই, যেখানে কোনো ধর্মীয় উপাসনালয়ে পাহারা দেওয়া লাগবে না। সম্প্রীতির এই সুন্দর বাগানে মাঝেমধ্যে হুতুম প্যাঁচা ঢুকে পড়ে। বাংলার সুন্দর আকাশে মাঝেমধ্যে শকুনের দৃষ্টি পড়ে।’
জামায়াতের আমির বলেন, ‘আমরা এমন বাংলাদেশ চাই, যেখানে মানুষের কর্ম দেখে মর্যাদা দেওয়া হবে না, মানুষকে সর্বশ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হবে। চব্বিশের বিজয় এমনিতে এমনিতে আসেনি। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর দিনের বেলায় লগি-বইঠা দিয়ে খুনিরা আদম হত্যায় মেতেছিল। মানুষের মরদেহের ওপর তারা লাফিয়েছিল।’
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর থেকে রক্তের হোলি খেলায় মেতেছিল জামায়াত নেতা বলেন, তারা পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এবং বিচারের নামে জামায়াতের নেতৃবৃন্দকে হত্যা করেছে। যারা এর প্রতিবাদ করতে এসেছে, তাদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে। দেশের সবচেয়ে বেশি হত্যাকাণ্ড সাতক্ষীরায় হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীও ভিআইপি উল্লেখ করে ডা. শফিক বলেন, ‘তারা তিন দিন পরিষ্কার না করলে আমরা ঘর থেকে বের হতে পারব না। তাই তাদেরও মর্যাদা দিতে হবে। সেই সম্প্রীতির বাংলাদেশ আমরা গড়তে চাই। আমরা জাতীয় স্বার্থে দল ও ধর্মের ঊর্ধ্বে থেকে কাজ করতে চাই। এই দেশকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দেশ বানাতে চাই। কিন্তু আকাশে কালো শকুন ঘুরছে। এই শকুন মাঝেমধ্যে ফোঁস করছে। তাই সতর্ক থাকতে হবে। যে যেভাবেই উসকানি দিক, আমরা ফাঁদে পা দেব না।’