কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নঈম উদ্দীন সেন্টুকে (৭০) নিজ কার্যালয়ে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর থেকে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, প্রতিদিনের মতো সকালে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ের নিজ কক্ষে বসে পরিষদের কাজ করছিলেন চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চেয়ারের পেছনে থাকা জানালা দিয়ে দুর্বৃত্তরা তাঁকে কয়েক রাউন্ড গুলি করে। গুলির শব্দে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে তাদের লক্ষ্য করেও গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা দিয়ে রাখে।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, ‘চেয়ারম্যান নিজ কক্ষের চেয়ারেই বসে ছিলেন। তাঁকে পেছন থেকে জানালা দিয়ে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।’
দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা বলেন, ‘চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন সেনটু একসময় উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আর দলীয় রাজনীতি করেন না।’
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। বিস্তারিত খোঁজ-খবর নিচ্ছি।’