নড়াইলের মাইজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী আসনের একজন ইউপি সদস্যকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর বিষপ্রয়োগে হত্যার ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির প্রতিনিধি দল। পরে তারা জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপিও দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি (৬৬টি নারী, মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠনের প্ল্যাটফর্ম) এবং মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন—মহিলা পরিষদের আন্দোলন সম্পাদক রাবেয়া খাতুন শান্তি, সদস্য হাবিবা শেফা, অ্যাডভোকেসি ও লবি পরিচালক জনা গোস্বামী, অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর (লিগ্যাল অ্যাডভোকেসি ও লবি) ফাতেমা খাতুন, লিগ্যাল এইড অফিসার সৌমিক শরীফ, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের প্রোগ্রাম অফিসার ইসরাত জাহান সিদ্দিকি, উই ক্যান বাংলাদেশের কো-অর্ডিনেটর মারুফিয়া নুর প্রমুখ।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতিনিধি দলের সদস্যরা দলবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার শিকার ইউপি সদস্যের বাড়ি পরিদর্শন করেন। এরপর তারা জেলা প্রশাসক এবং নড়াইল জেলা সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ ঘটনার দ্রুত, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের অবিলম্বে শাস্তি নিশ্চিতকরণ এবং এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। এর প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক এবং জেলা সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ ভুক্তভোগীর পরিবারকে ন্যায় বিচার পেতে সকল রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে প্রতিনিধি দলকে আশ্বস্ত করেন।
প্রতিনিধিদল মাইজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সফুরা খাতুন এবং ইউনিয়ন পরিষদের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। এ সময় নড়াইল নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।