যশোরের শার্শা উপজেলায় এক স্থানে সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
গুরুতর আহতদের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সংঘর্ষের সময় মঞ্চ ভাঙচুর ও ১২টি ককটেল বোমার বিস্ফোরণ ঘটে।
আজ মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বেলা ২টার দিকে শার্শার নিজামপুর ইউনিয়নের গোড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শার্শা উপজেলা বিএনপি চারটি গ্রুপে বিভক্ত। এর মধ্যে দুইটি প্রধান গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মফিকুল ইসলাম তৃপ্তি ও অন্যটি শার্শা উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হাসান জহির। তাঁদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।
তৃপ্তি গ্রুপ পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে শার্শার নিজামপুর ইউনিয়নের গোড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সমাবেশের আয়োজন করে। তবে আবুল হাসান জহির গ্রুপ একই স্থানে সমাবেশের ঘোষণা দেয়। সোমবার থেকেই উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে হঠাৎ অর্ধশতাধিক অজ্ঞাতনামা যুবক তৃপ্তি গ্রুপের মঞ্চে হামলা চালায়। হামলাকারীরা মঞ্চ ভেঙে ফেলে এবং সমাবেশস্থলে রাখা চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে।
সংঘর্ষের সময় প্রায় ১২টি ককটেল বোমার বিস্ফোরণ ঘটে, যা এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি করে।
এ ঘটনায় তৃপ্তি গ্রুপের আহতরা হলেন—উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আল মামুন বাবলু আসাদুজ্জামান, যুবদল কর্মী জাহাঙ্গীর এটিএম রাশেদুল আলম, বেনাপোল পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম শহিদ, ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বিপ্লব হোসেন, ছাত্র নেতা রনি আহমেদ।
হাসান জহির গ্রুপের আহতরা হলেন—গোড়পাড়া গ্রামের নাসির উদ্দিন, সোনানদিয়া গ্রামের আবু বক্কার, দক্ষিণ বুরুজ বাগান গ্রামের হাফিজুর, গোড়পাড়া গ্রামের আরিফ হোসেন।
তৃপ্তি গ্রুপের নেতাকর্মীদের দাবি উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান জহির গ্রুপের সদস্যরা তাদের সভা পণ্ড করেছেন। তবে এ অভিযোগ স্বীকার করেনি হাসান গ্রুপের সমর্থকেরা।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির আব্বাস জানান, সমাবেশকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের উত্তেজনা ছিল। সংঘর্ষে দুই পক্ষের কর্মীরা আহত হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।