বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যাঁরা হত্যার শিকার হয়েছেন, তাঁদের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। শুধু ছাত্র-জনতা হত্যা নয়, গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে যেসব হত্যার ঘটনা ঘটেছে—সব হত্যার বিচার করা হবে।
আজ সোমবার দুপুরে যশোরের বেনাপোলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত আবদুল্লাহর কবর জিয়ারত ও পরিবারকে সান্ত্বনা শেষে সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
হাসান আরিফ বলেন, ‘দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা দিতে নির্বাচনী প্রক্রিয়া এগিয়ে চলছে।’
এ সময় আবদুল্লাহর স্মৃতি ধরে রাখতে বেনাপোল পৌর গেটকে শহীদ আবদুল্লাহ পৌর গেট করার দাবি উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেন স্থানীয়রা।
এর আগে ১৪ নভেম্বর আবদুল্লাহর বাড়ি গিয়েছিলেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
আবদুল্লাহ বেনাপোল পোর্ট থানার বড়আঁচড়া টার্মিনালপাড়া গ্রামের দিনমজুর আব্দুল জব্বারের ছেলে। মা মাবিয়া বেগম। তাঁরা তিন ভাই ও এক বোন। আবদুল্লাহ ছিলেন সবার ছোট। তিনি ঢাকায় বোনের বাসায় থেকে লেখাপড়া করতেন। রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
আন্দোলনের শুরু থেকেই সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন আবদুল্লাহ। গত ৫ আগস্ট রাজধানীর তাঁতিবাজার মোড়ে বংশাল থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হন আবদুল্লাহ। তাঁর কপালের ঠিক মাঝ বরাবর গুলি লাগে।
দীর্ঘ সময় রাস্তায় পড়ে থাকার পর প্রথমে তাঁকে মিটফোর্ড এবং পরে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার করে তাঁর মাথা থেকে বের করা হয় গুলি। এরপর তাঁকে বেনাপোলে নিয়ে যান স্বজনেরা। বাড়িতে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ১১ আগস্ট রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় ডাক্তাররা দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ২২ আগস্ট তাকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৩ নভেম্বর মারা যান আবদুল্লাহ।