বাগেরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম তানু ভূঁইয়া হত্যা মামলায় ফরিদসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১২ নভেম্বর) রাতে বাগেরহাট জেলা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত গুলি ও অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
হত্যার পর থেকেই পুলিশ দাবি করে আসছিল, একই এলাকার টুটুল শেখের ছেলে ফরিদের গুলিতেই তানু নিহত হয়েছেন। তবে বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম তখন বলেন, আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় তানুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক বলেন, ‘তানু ভূঁইয়া হত্যার ঘটনায় আমরা ঘাতক ফরিদসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। আজ রোববার দুপুর পৌনে ১২টায় বাগেরহাটের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।’
শুক্রবার হত্যাকাণ্ডের পর গতকাল শনিবার রাতে নিহত তানুর স্ত্রী কানিজ ফাতেমা বাদী হয়ে বাগেরহাট মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তবে মামলার বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি।
এর আগে শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রাত সোয়া ৯টার দিকে বাগেরহাট শহরের বাসাবাটি পদ্মপুকুরের মোড় এলাকায় গুলিতে নিহত হন নূরে আলম তানু ভূঁইয়া। নিহত নূরে আলম তানু ভূঁইয়া বাগেরহাট শহরের বাসাবাটি এলাকার মৃত আব্দুর রউফ ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি বাগেরহাট জেলা ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। শনিবার দুপুরে জানাজা শেষে সরুই কবরস্থানে দাফন করা হয় সাবেক এই ছাত্রনেতাকে।