নাম পরিবর্তন করে আত্মগোপনে গিয়েও শেষ রক্ষা হলো না দেলোয়ার হোসেনের (৪৫)। প্রতারণার ২৫টি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এই আসামিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের এক বাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
দেলোয়ার হোসেন যশোর সদর উপজেলার ছাতিয়ানতলা গ্রামের জয়নাল আবেদীন দফাদারের ছেলে। গত বৃহস্পতিবার ভোরে দেলোয়ারকে গ্রেপ্তার করে যশোরে আনা হয়। পরে জেলা জজ আদালতের বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
যশোর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া আজ শনিবার আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দেলোয়ার হোসেন একটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে শাখা ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেই সুযোগে বিভিন্নজনের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেন তিনি।
ওসি বলেন, আর্থিক কেলেঙ্কারির প্রমাণ মেলায় ২০১৩ সালে এনজিও কর্তৃপক্ষ দেলোয়ারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে। পরে একের পর এক প্রতারণার মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় ৪১টি মামলা হয়। এর মধ্যে ২৫টি মামলায় দেলোয়ার হোসেন সাজাপ্রাপ্ত। এসবের মধ্যে একটি মামলায় তাঁর সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড হয়েছে।
গ্রেপ্তার এড়াতে নাম পরিবর্তন করে দেলোয়ার ‘তুহিন’ ছদ্মনামে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। সেখানে একটি ভাড়াবাসায় বসবাস শুরু করেন। তবে শেষ পর্যন্ত আইনের হাত থেকে তিনি রক্ষা পাননি।
ডিবি পুলিশ জানায়, দেলোয়ার হোসেনের নামে আদালত থেকে একাধিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার ভোরে তাঁর অবস্থান শনাক্ত করে গাজীপুরে অভিযান চালায় যশোর ডিবির একটি দল। সেখান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিনই আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।