হোম > সারা দেশ > খুলনা

দাম্পত্য কলহে ২১ দিন আত্মগোপনে ছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ২১ দিন ধরে নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তা বাড়ি ফিরেছেন। পুলিশ বলেছে, দাম্পত্য কলহের কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার একটি হোটেলে অবস্থান করছিলেন। গতকাল রাতে তাঁর বাড়ি ফেরার বিষয়টি আজ শনিবার নিশ্চিত করেছে পরিবার ও পুলিশ। 

ওই ব্যাংক কর্মকর্তার নাম রাজিব আহমেদে (৪০)। তিনি পূবালী ব্যাংকের কুমারখালী শাখায় জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। রাজিব ভেড়ামারা উপজেলার বামনপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম আলীর ছেলে। 

গত ২২ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় কুমারখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শেরকান্দি এলাকা থেকে তিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন বলে দাবি ছিল পরিবারের। ওই দিন রাতেই কুমারখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী রায়হানা পারভীন। এ ছাড়া তাঁর উদ্ধাকে দাবিতে মানববন্ধন করেন পরিবারের লোকজন। 

ব্যাংক কর্মকর্তা রাজিবের স্ত্রী রায়হানা বেগম মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার স্বামী (রাজিব আহমেদ) নিখোঁজের পর থেকে আমি সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়ি খোকসাতেই আছি। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে আমার স্বামী ফোন দিয়ে জিজ্ঞাসা করেন আমি কোথায় আছি। আমি তাঁকে বলি—কসায়। তিনি বলেন, আমি আসতেছি। এর ঘণ্টাখানেক পর তিনি বাড়িতে এসে বলেন, আমাকে কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করবে না। আমি প্রচণ্ড অসুস্থ ও ক্লান্ত, আমি এখন ঘুমাব। এ জন্য তাঁকে কিছু জিজ্ঞাসা না করে তাঁর ফিরে আসার খবর শ্বশুরবাড়ি ও পুলিশকে জানাই। রাত সাড়ে ১১টার দিকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন এসে তাঁকে কুমারখালী থানায় নিয়ে যায়। সঙ্গে আমিও ছিলাম। থানা থেকে আমি জিডি তুলে নেওয়ার পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে ভেড়ামারা নিয়ে যায়।’ 

রায়হানা বেগম আরও বলেন, ‘আমরা কুমারখালী শেরকান্দি এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতাম। সেখান থেকে রাজিব নিয়মিত ব্যাংকে যাওয়া-আসা করত। নিখোঁজের কয়েক দিন আগে আমি খোকসা বাবার বাড়িতে যাই। ২১ ডিসেম্বর রাতে তিনি আমাকে মোবাইল ফোনে জানিয়েছিলেন শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) গ্রামের বাড়ি ভেড়ামারা যাবেন। এরপর ২২ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমার সঙ্গে কথা বলে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু বের হওয়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর থেকে তাঁর ফোন বন্ধ পাই।’ 

পারিবারিক কলহের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘প্রতিটা সংসারেই একটু-আধটু কলহ থাকেই।’ 

এদিকে ব্যাংক কর্মকর্তা রাজিব আহমেদের বড় ভাই সাইদুল ইসলাম সান্টু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্ত্রীর সঙ্গে আমার ভাইয়ের পারিবারিক কলহ চলছিল। মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে সে আত্মগোপনে চলে যায়। গতকাল শুক্রবার রাতে ওর শ্বশুরবাড়ি থেকে জানতে পারি, সে ফিরে এসেছে। পরে আমরা গিয়ে তাঁকে থানায় নিয়ে আসি।’ 

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, পারিবারিক অশান্তির কারণে রাজিব আহমেদ স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি মানসিকভাবেও কিছুটা বিপর্যস্ত। সিডিআর বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, নিখোঁজের পর থেকে তিনি একাধিক সিমও ব্যবহার করেছেন। প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানা যায় খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার একটি হোটেলে অবস্থান করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিন সেতু-কালভার্টে ধস লাখো মানুষের দুর্ভোগ

রাজনৈতিক সরকার ছাড়া সংস্কার টেকসই হবে না: সিজিএস সংলাপে বক্তরা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের সম্মুখীন করা: প্রেস সচিব

সেপটিক ট্যাংক থেকে নিখোঁজ কৃষকের লাশ উদ্ধার

বাগেরহাটে অস্ত্র–গুলিসসহ ২ যুবক গ্রেপ্তার

নারীদের স্বাবলম্বী হওয়ার পথ দেখাচ্ছে খুবি শিক্ষার্থীদের উদ্যোগ ‘সমৃদ্ধি’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে আজও কাঁদছেন ছাব্বিরের মা

২৬টি জুট মিল চালুর দাবিতে খুলনায় শ্রমিক সমাবেশ

দৌলতপুরে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

পাউবোর পাইপ চুরি, গ্রেপ্তার ৩

সেকশন