ভারত সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় নদীয়া জেলার করিমপুর সীমান্তে বিএসএফ সদস্যদের হাতে আটক হন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের রূপচাঁদ মণ্ডল। পরে যোগাযোগ করা হলে গতকাল শুক্রবার সকালে তাঁকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে দেশে ফেরা রূপচাঁদ মণ্ডল বিজিবিকে জানিয়েছেন, অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় আরও সাত বাংলাদেশিসহ ভারতের তিন দালালকে সেখানকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক দেখতে পেয়েছেন। ওই সাত বাংলাদেশি ভারতের কেরালা থেকে আসছিলেন। তাঁদের সবার বাড়ি তাঁরই এলাকা দৌলতপুরে। গত বৃহস্পতিবার সকালে নদীয়া জেলার করিমপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার সময় তিনি বিএসএফের হাতে আটক হন।
গতকাল রাতে কুষ্টিয়া বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব মুর্শেদ রহমানের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রূপচাঁদ ২০১৯ সালে অবৈধভাবে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ভারতের কেরালায় শ্রমিকের কাজ করেন। এরপর ভারতের অভ্যন্তরে বিদ্যমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর বাংলাদেশে ফেরত আসার সময় বিএসএফের বাউসমারি ক্যাম্পের সদস্যদের হাতে আটক হন।
রূপচাঁদের দেওয়া তথ্যমতে, ভারতে আটক সাত বাংলাদেশি হলেন উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের ছাতার মণ্ডলের ছেলে স্বপন, শমসের মণ্ডলের ছেলে হামিদুল ইসলাম, জামসেদ বিশ্বাসের ছেলে জালাল উদ্দিন, ভাগজোত কাস্টমমোড় এলাকার মনিরুলের ছেলে রনি আহমেদ, জিন্দার আলীর ছেলে লিটন হোসেন, মোজাম হোসেনের ছেলে মাহবুবুল এবং প্রাগপুর ইউনিয়নের জয়পুর এলাকার আব্বাস আলীর ছেলে মহাম্মদ রতন।
এ বিষয়ে বিজিবি জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অন্যদেরও দেশে ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে।