কুষ্টিয়ায় ডাকাতি মামলায় ৯ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড ও অন্য চারজনের বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার কুষ্টিয়ার বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। সে সঙ্গে প্রত্যেকেই ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
এ সময় সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের কঠোর পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। দণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন কুষ্টিয়া চৌড়হাস উপজেলা রোডের জাকির, মতিমিয়া রেলগেট সংলগ্ন উল্লাস, বাড়াদী এলাকার রফিক, তৈয়মুর ইসলাম, পিচ্চি মনির ও সাগর।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২২ জুলাই রাত ২টার দিকে একদল ডাকাত কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস মতিমিয়া রেল গেইট সংলগ্ন এলাকায় বাদী বেগম ফরিদা ইসলামের বসত বাড়িতে প্রবেশ করে আগ্নেয়াস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বর্ণালংকার, টাকা, মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে বাড়ির সদস্যদেরকে দড়ি দিয়ে চোখ ও হাত পিঠমোড়া করে বেঁধে রেখে বাড়ির আসবাবপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ওই দিন দুপুরের দিকে কুষ্টিয়া মডেল থানায় বেগম ফরিদা ইসলাম বাদী হয়ে সন্দেহজনক তিন জনের নাম উল্লেখ করে একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হারাধন কুন্ডু মামলাটির তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আজ বুধবার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
কুষ্টিয়া জজ কোর্টের পিপি অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।