যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণে অবস্থিত ফাতেমাতুজ্জোহরা কওমি মাদ্রাসায় মেয়েদের শোয়ার ঘরে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) স্থানীয় প্রশাসন ও কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
‘ছাত্রীদের শোয়ার ঘরে সিসি ক্যামেরা, শিক্ষকের কক্ষে মনিটর’ শিরোনামে একটি সংবাদ আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। পরে স্থানীয় প্রশাসন ও কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয় উপজেলা কার্যালয়ে।
বৈঠকে মাদ্রাসাটি বন্ধের পাশাপাশি শনিবারের মধ্যে সব ছাত্রীকে পরিবারের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ভবিষ্যতে মাদ্রাসাটির অবস্থা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ডা. কাজী নাজিব হাসান জানান, বৈঠকে কওমি বোর্ডের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাওলানা আনোয়ারুল কামির যশোরীসহ ৩০ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন। মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা তরিকুল ইসলাম ঘটনায় নিজের ভুল স্বীকার করে লিখিত ব্যাখ্যা দেন।