খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা নগরীর শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. পলাশ তালুকদার ওরফে চিংড়ি পলাশ (৩৪) ও তাঁর স্ত্রী পারভিন সুলতানা তিতলীকে (২৮) আটক করেছে যৌথ বাহিনী। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে তাঁদের আটক করা হয়। এ সময়ে তাঁর কাছ থেকে দুটি রামদা,দুটি চায়নিজ কুড়াল ও বোমাসদৃশ পাঁচটি ককটেল বোমা উদ্ধার করা হয়।
পলাশ নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার ২২ নম্বর গোবরচাকা এলাকার সুলতান তালুকদারের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় হত্যাসহ ১৫টি মামলার রেকর্ড পাওয়া গেছে।
সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) হাওলাদার সানোয়ার হোসাইন মাসুম তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসী গ্রেপ্তারে সেনা, নৌ, পুলিশের সমন্বয়ে যৌথ বাহিনী নগরীতে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত ১২টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন গোবরচাকা এলাকায় যৌথ বাহিনী মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারের জন্য অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে খুলনার অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. পলাশ তালুকদার ওরফে চিংড়ি পলাশ এবং তাঁর স্ত্রীকে আটক করা হয়। পলাশের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাঁর বাসা তল্লাশি করে বাড়ির উঠান থেকে পাঁচটি ককটেল,দুটি রামদা ও দুটি চায়নিজ কুড়ালসহ অন্য দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁদের সোনাডাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে সন্ত্রাসী পলাশকে আটকের খবর জনার পর এলাকার জনগণ যৌথ বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানায় তারা।
উল্লেখ্য, বর্তমান সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় দায়িত্বপূর্ণ এলাকাসমূহে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও সেনাবাহিনীর নিয়মিত যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।