চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে আম সংগ্রহ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসক কিসিঞ্জার চাকমা শহরের মহিলা কলেজপাড়ার একটি আমবাগানে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। জেলায় এবার আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ৮১০ মেট্রিকটন।
আমবাগান চত্বরে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরিন বিনতে আজিজ ও দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, চুয়াডাঙ্গা জেলা আম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মহলদার, সহসভাপতি ও কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম প্রমুখ।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৭২০ হেক্টর, আলমডাঙ্গায় ২২০ হেক্টর, দামুড়হুদায় ৭৩৯ হেক্টর ও জীবননগরে ৬২৫ হেক্টর জমিতে আম উৎপাদন হয়েছে। জেলায় আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ৮১০ মেট্রিকটন।
১৬ মে থেকে আঁটি, গুটি ও বোম্বাই জাতের, ২৪ মে থেকে হিমসাগর, ৩০ মে থেকে ল্যাংড়া, ১০ জুন আম্রপালি (বারি আম-৩), ১৫ জুন থেকে ফজলী, ১ জুলাই থেকে আশ্বিনা (বারি-৪) জাতের আম সংগ্রহ করা হবে।
চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, ‘জেলায় উৎপাদিত আম অত্যন্ত ভালো মানের। এ কারণে আম পাড়ার ক্ষেত্রে যথাযথ নিয়ম মানতে হবে। উৎপাদিত গুণগত মানের আম বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে দৃষ্টি দেওয়া জরুরি। জেলার আম ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে অন্য জেলা থেকে অপরিপক্ব আম ঢুকতে দেওয়া হবে না। এ ছাড়া আম বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘কোনো অবস্থাতে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে অপরিপক্ব আম পাড়া এবং পাকানো ও সংরক্ষণের জন্য কোনো রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা যাবে না। তাছাড়া অবৈধ প্রক্রিয়ায় আম পাকানো হলে বা পাকানোর উদ্দেশ্যে মজুত করা হলে ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯’ এবং ‘নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ অনুয়ায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’