চোরের একদিন, গেরস্তের সাত দিন। এই প্রবাদ বাক্য প্রমাণ করতেই যেন কৃষক সেজে সোনা চোরাচালান করতে গিয়ে সপ্তমবারে বিজিবির হাতে ধরা পড়েছেন শাহ আলম। তাঁকে যশোরের চৌগাছা উপজেলার কাবিলপুর শ্মশান ঘাট এলাকা থেকে ১২৪ পিস সোনার বারসহ আটক করে বিজিবি। শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে তাঁকে আটক করা হয়।
দুপুরে যশোরের ৪৯-বিজিবি হেডকোয়ার্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহেদ মিনহাজ সিদ্দিকী জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বেশ কিছুদিন ধরে সোনা চোরাকারবারিদের একটি গ্রুপের ওপর নজরদারি করা হচ্ছিল। এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার ভোরে চৌগাছা সীমান্তের শাহজাদপুর বিওপির সদস্যরা শাহ আলমের ওপর নজরদারি শুরু করে। পরে তাঁকে সকাল সাড়ে আটটার দিকে শাহজাদপুর বিওপির এক কিলোমিটার অদূরে কাবিলপুর শ্মশান ঘাট এলাকা থেকে আটক করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে পাঁচটি বড় সোনার বারসহ মোট ১২৪ পিস সোনার বার উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া তাঁর ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও জব্দ করা হয়। জব্দকৃত সোনার বারের বাজারমূল্য ১০ কোটি সাড়ে ১১ লাখ টাকা।
বিজিবি অধিনায়ক আরও জানান, শাহ আলম কৃষক সেজে ওই সোনার বারগুলো শ্মশানে রেখে আসতে গিয়েছিল। সেখান থেকে অন্য একটি গ্রুপের সদস্যদের ওই বার নিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তার আগেই শাহ আলমকে আটক করে বিজিবি। আলম ইতিপূর্বে আরও ৬টি চালান সফলভাবে পাচার করেছে। সপ্তম চালান পাচারকালে তাঁকে আটক করা হয়। জব্দকৃত মোটরসাইকেলসহ শাহ আলমকে চৌগাছা থানা সোপর্দ করা হবে। জব্দকৃত সোনার বারগুলো আদালতের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিজিবি অধিনায়ক।