মেলান্দহ (জামালপুর): পাট কাটা ও জাগ দেওয়ায় ব্যস্ত সময় পার করছেন মেলান্দহ উপজেলার কৃষকেরা। সময়মতো বৃষ্টিপাত হওয়ায় পাট কেটে নদীনালা-খালবিল-ডোবায় জাগ দেওয়া ও আঁশ ছাড়ানো নিয়ে ব্যস্ত তাঁরা। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে।
মেলান্দহ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, উপজেলায় এবার পাট চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৭৪২ হেক্টর। চাষ হয়েছে ১ হাজার ৭৭০ হেক্টর জমিতে। এতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৮ হেক্টর জমিতে বেশি পাট চাষ হয়েছে।
ঝাউগড়া ইউনিয়নের পাটচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খালবিলে টানা বৃষ্টিতে পানি জমা হয়েছে। বৃষ্টি পেয়ে পাট জাগ দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁরা। সবাই এখন পাট কেটে জাগ দেওয়ার জন্য খালবিলে কাঁচা পাট নিয়ে জমা করছেন।
চর ঘোষপাড়া গ্রামের কৃষক আলম মিয়া বলেন, `এ বছর আমি তিন বিঘা জমিতে পাট আবাদ করেছি। এতে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বিঘাপ্রতি ১২ থেকে ১৫ মণ পাট হবে। এখনো বাজারে পাট বিক্রি শুরু হয় নাই। তাই দাম কেমন হবে ঠিক বুঝতে পারছি না। সরকার যদি নির্দিষ্ট দাম নির্ধারণ করে দিত, তাহলে আমরা পাট চাষে লাভবান হতে পারতাম।
ছবিলাপুর গ্রামের কৃষক সোনাহার বলেন, পাট কাটা ও জাগ দেওয়া শুরু হয়েছে। ১৫-২০ দিনের মধ্যে বাজারে পাট বিক্রি শুরু হবে। কত টাকা মণ পাট বিক্রি করতে পারব, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। বাজারে পাটের দাম ভালো হলে এ বছর একটু লাভের মুখ দেখতে পারব।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল জানান, উপজেলায় এ বছর পাটের ফলন ভালো হয়েছে। পাটের রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ ছিল না। বাজার ভালো থাকলে এবার কৃষকেরা লাভবান হবেন। এতে ভবিষ্যতেও তাঁদের পাট চাষে আগ্রহ বাড়বে।