ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে নাঈম মিয়া (৬) নামে এক শিশুকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে আপন চাচা আব্দুল বারেক (৩৫)। আজ শনিবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের দেবস্তান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শিশু নাঈম ওই এলাকার মো. নূরুল ইসলাম ওরফে কাদিরের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা ১২টার দিকে শিশু নাঈমকে তার মা রীনা আক্তার ভাত খেতে দিয়ে পুকুরে যান। ঘরের মেঝেতে বসে ভাত খাচ্ছিল নাঈম। ওই ঘরের খাটে শুয়েছিল শিশুটির চাচা আব্দুল বারেক। হঠাৎ তিনি খাট থেকে নেমে ভাত খাওয়া অবস্থায় শিশুটিকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন।
কিছুক্ষণ পরে শিশুটির মা ঘরে এসে দেখেন নাঈমকে হত্যার পর কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন আব্দুল বারেক। এ সময় তিনি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে নাঈমকে মৃত অবস্থা উদ্ধার করেন। পরে আব্দুল বারেক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাঁকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে এবং পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় অভিযুক্ত আব্দুল বারেককে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
রাজিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলী ফকির বলেন, অনেক আগে থেকেই আব্দুল বারেক মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। হুটহাট করে বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যেত। আবার কিছুদিন পর বাড়িতে ফিরে আসত। দীর্ঘদিন পর গতকাল শুক্রবার বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। এমনকি আজ শিশুটিকে হত্যা করে তাকে নিয়েই জুমার নামাজও পড়েছেন। তবে, আজকে হঠাৎ কী কারণে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন তা কেউ বলতে পারছেন না।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পিএসএম মোস্তাছিনুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মর্গে পাঠানো হবে। ঘটনার পর পরই ঘাতক চাচাকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।