ময়মনসিংহের ত্রিশালে ট্রাকচাপায় মায়ের পেট ফেটে জন্ম নেওয়া সেই শিশুর জন্ডিস ভালো হয়েছে। তবে শ্বাসকষ্ট পুরোপুরি ভালো হয়নি। এ সপ্তাহে শিশুটিকে ছুটি দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
আজ শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের নবজাতক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও শিশুর চিকিৎসায় গঠিত পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের সদস্যসচিব ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, গত রোববার রাতে শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এনআইসিইউ বিভাগে ভর্তি করা হয়। শিশুটি জন্ডিসের পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট ও রক্তস্বল্পতায় ভুগছিল। জন্ডিস ভালো হলেও বর্তমানে শিশুটি কিছুটা শ্বাসকষ্টে ভুগছে। মাঝেমধ্যে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। বাইরে থেকে কোনো মায়ের দুধ আনলে খাওয়ানো হয়। এ ছাড়া ভেতরে প্রায় দুই শর মতো মা রয়েছেন, নার্সরা তাঁদের দুধও খাওয়াচ্ছেন। সবকিছু মেডিকেল টিমের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলছে।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আশা করা যাচ্ছে, এ সপ্তাহের মধ্যে শিশুটিকে ছুটি দেওয়া হবে। তবে শিশুটিকে নিয়ে যে বড় ধরনের আশঙ্কা ছিল, তা আর নেই।’
শিশুটির দাদা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘শিশুটিকে দেখতে না পেরে খারাপ লাগছে। অন্যের মাধ্যমে খোঁজ নিচ্ছি শিশুটি ভালো আছে। দুর্ঘটনার পর থেকে অনেকে নানাভাবে আমাদের সহযোগিতা করছে। ঘরে পর্যাপ্ত খাবার রয়েছে। প্রশাসন যদি শিশুটিকে দত্তক দিলে ভালো মনে করে তাহলে দেব। কারণ, শুরু থেকে প্রশাসন এবং সাংবাদিকদের কারণে আমরা অনেক সহযোগিতা পাচ্ছি। আর শিশুটির সার্বিক তত্ত্বাবধান করছেন লাবীব হাসপাতালের পরিচালক মো. শাহজাহান।’
উল্লেখ্য, ১৬ জুলাই দুপুরের পরে উপজেলার রাইমনি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম (৪০) তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রত্না আক্তার (৩০), মেয়ে সানজিদা আক্তারকে (৬) নিয়ে আলট্রাসনোগ্রাফি করাতে ত্রিশালে আসেন। পৌর শহরের খান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় ময়মনসিংহগামী একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে জাহাঙ্গীর আলম, স্ত্রী রত্না এবং মেয়ে তিনজনেরই মৃত্যু হয়। এ সময় ট্রাকচাপায় রত্নার পেট ফেটে কন্যাশিশুটির জন্ম হয়।