বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শিক্ষার্থীকে মারধর এবং শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. সুকুমার সাহাকে সভাপতি এবং সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলামকে সদস্যসচিব করে পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোক্তার হোসেন, ফসল উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন-২ ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ছাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
কমিটির সভাপতি ড. সুকুমার সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছি। আমরা সবার সঙ্গে বসে মিটিং করব। আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারব। তবে ঘটনার সঙ্গে যেহেতু কয়েক পক্ষ জড়িত, সে জন্য নির্ধারিত কার্যদিবসের বাইরেও সময় চলে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে আমরা সময় বাড়িয়ে নেওয়ার জন্য আবেদন করব।’
জোরপূর্বক কক্ষে প্রবেশ করে শিক্ষককে লাঞ্ছনা এবং মাসহ এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদের বিরুদ্ধে।
১০ জানুয়ারি সন্ধ্যার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. পূর্বা ইসলামের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারিকে লাঞ্ছিত করা হয় এবং মারধর করা হয় ভেটেরিনারি অনুষদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আফতাব দুর্বারকে।
এদিকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বাকৃবি ছাত্রলীগের সভাপতিকে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ। ঘটনার দিন রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।