Ajker Patrika

ব্যাংকের এমডি দুলাভাইয়ের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা, সাজাপ্রাপ্ত শ্যালক জেলে

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার সাজাপ্রাপ্ত আসামি মামুনুর রশিদ ফাত্তাহ। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার সাজাপ্রাপ্ত আসামি মামুনুর রশিদ ফাত্তাহ। ছবি: সংগৃহীত

জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মজিবর রহমানের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণার মামলায় পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামি মামুনুর রশিদ ফাত্তাহকে (৪১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বর্তমানে জনতা ব্যাংকের এমডি মজিবর রহমানের আপন শ্যালক।

আজ সোমবার সকালে রাজধানীর শান্তিবাগের বাসা থেকে মামুনুর রশিদ ফাত্তাহকে ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানা-পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তিনি গফরগাঁও উপজেলার হারুন অর রশিদের ছেলে। ফাত্তাহ শান্তিবাগ এলাকায় বসবাস করতেন।

জানা গেছে, ২০১৯ সালে গফরগাঁওয়ের জন্মেজয় গ্রামের বাহার উদ্দিনের ছেলে নাহিদ আলমকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে তাঁর কাছ থেকে চেকের মাধ্যমে সাড়ে ৪ লাখ টাকা নেন মামুনুর রশিদ ফাত্তাহ। চাকরি দিতে না পেরে গা ঢাকা দেন তিনি। পরে ২০১৯ সালে নাহিদ আলম ময়মনসিংহ যুগ্ম দায়রা জজ আদালতে মামলা করেন। ওই মামলায় ২০২৩ সালের ২৯ জানুয়ারি আদালত ফাত্তাহকে এক বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেন। এরপর থেকে ফাত্তাহ পলাতক ছিলেন। পরে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সোমবার সকালে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

মামলার বাদী নাহিদ আলম বলেন, ‘আমি আদালতের কাছে ন্যায়বিচার পেয়েছি।’

অপর ভুক্তভোগী মামুনুর রশীদ ফাত্তাহর আপন চাচাতো ভাই শেখ আলীম রেজা আপেল বলেন, ‘আমার কাছ থেকে ইউসিবি ব্যাংকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে মজিবর রহমানের নাম ভাঙিয়ে সাত লাখ টাকা নেন ফাত্তাহ। ২০১৯ সালে আমাকে ইউসিবি ব্যাংকের এমডি স্বাক্ষরিত একটি নিয়োগপত্র দেন। চাকরিতে যোগদান করতে গিয়ে দেখি, নিয়োগপত্রটি ভুয়া। এরপর টাকা ফেরত দেওয়ার নামে শুরু হয় নানা নাটক। টাকা চাইতে গেলে মিথ্যা মামলার হুমকি দিতেন ফাত্তাহর বড় বোন হ্যাপিসহ পরিবারের লোকজন। আমি আইনি প্রক্রিয়ায় এগোতে গেলেও ফাত্তাহ ও তাঁর পরিবার ক্ষমতার জোরে পুলিশকে প্রভাবিত করে। আমি তাঁর শাস্তি ও টাকা ফেরত চাই।’

গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শিব্বিরুল ইসলাম বলেন, আসামি অর্থঋণ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে পলাতক ছিলেন। তাঁকে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

শ্যালকের বিরুদ্ধে নাম ভাঙিয়ে প্রতারণার অভিযোগের বিষয়ে জনতা ব্যাংকের এমডি মজিবর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি তা ধরেননি। তবে এসএমএস করে কল দেওয়ার কারণ জানতে চান। পরে তাঁর নাম ভাঙিয়ে শ্যালকের প্রতারণার অভিযোগের বিষয় জানতে চেয়ে এসএমএস করলেও তিনি কোনো প্রত্যুত্তর দেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত