চার বছরের মেয়েকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে স্ত্রীর অফিসে যাচ্ছিলেন পাপ্পু মজুমদার (৪০)। পথিমধ্যে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে লেবেল ক্রসিংয়ে পাশে একটি দোকানে মেয়েকে বসিয়ে রাখেন। এ সময় রেললাইনের পাশ দিয়ে কানে হেডফোন লাগিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনাটি ঘটে আজ বুধবার নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার ইসপিঞ্জাপুর লেবেল ক্রসিংয়ে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে। তিনি নেত্রকোনা শহরের পাটপট্টি এলাকার বাসিন্দা এবং ৭১ বাংলা টিভি নামে একটি অনলাইন মিডিয়ার জেলা প্রতিনিধি।
মোহনগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই রহুল আমিন বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাপ্পু মজুমদারের (৪০) স্ত্রী মোহনগঞ্জে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা স্বাবলম্বীতে চাকরি করেন। তিনি মেয়েকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে মোহনগঞ্জে স্ত্রীর অফিসে যাচ্ছিলেন। পথে ইসপিঞ্জাপুর রেলক্রসিংয়ের পাশে একটি দোকানে মেয়েকে বসিয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে রেললাইনের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় কানে হেডফোন লাগিয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন।
এ সময় মোহনগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা মহুয়া কমিউটার ট্রেনটি পেছন থেকে তাকে ধাক্কা দেয়। এতে পাপ্পু রেললাইনের পাশে ছিটকে পড়েন। মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পাপ্পুর সহকর্মী আমিনুল ইসলাম মনি বলেন, ‘কানে হেডফোন থাকায় ট্রেনের হর্ন শুনতে পাননি পাপ্পু। অন্যদিকে রেলক্রসিংয়ের গেটম্যানও চিৎকার করে সরে যেতে বলছিল। কিন্তু কানে হেডফোন লাগিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে হাঁটার কারণে গেটম্যানের চিৎকার, ইশারা আর ট্রেনের হর্ন কিছুই তিনি শুনতে পাননি।’
মোহনগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই রহুল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’