হোম > সারা দেশ > ময়মনসিংহ

বিএনপি অফিসের ভাড়া বাকি কোটি টাকা, পিস্তল হাতে দলীয় সাবেক উপমন্ত্রী

জামালপুর প্রতিনিধি 

ছেলেকে মারধরের খবর শুনে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ছুটে যান জামালপুর-৫ সদর আসনের বিএনপির দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক। ছবি: সংগৃহীত

২৮ বছরের বকেয়া ভাড়া কোটি টাকা না দেওয়ায় জামালপুর জেলা বিএনপির কার্যালয় ছেড়ে দিতে বলায় মারধরের শিকার হয়েছেন জামালপুর-৫ সদর আসনের বিএনপির দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হকের ছেলে বাবু। পরে তাঁকে ছাড়িয়ে নিতে সেখানে যান সাবেক উপমন্ত্রী। এ সময় তাঁর হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা যায়। গত মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

এদিকে স্বাস্থ্য উপমন্ত্রীর ছেলেকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুনের বড় ভাই জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদুয়ান এবং জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আহসানুজ্জামান রুমেলের বিরুদ্ধে।

ভিডিওতে দেখা যায়, ছেলেকে উদ্ধার করতে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন সাবেক উপমন্ত্রী সিরাজুল হক। একপর্যায়ে তিনি পিস্তল উঁচিয়ে হামলাকারীদের মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন।

১ মিনিট ১৩ সেকেন্ড এবং ২০ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, শহরের শফির মিয়ার বাজার এলাকায় জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে মানুষের ভিড়। সেখানে কথা বলছেন সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী সিরাজুল হক। তাঁর ডান হাতে পিস্তল। এ সময় তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার ফাঁসি হলে হবে। আমি ফাঁসি মেনে নেব। তা-ও গাদ্দারকে মেরে ফেলব।’

দলের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার রাতে সিরাজুল হক তাঁর একদল অনুসারী নিয়ে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। এ সময় উপস্থিত নেতা-কর্মীদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। একপর্যায়ে তিনি প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করেন এবং দলীয় নেতাদের মুনাফেক বলে আখ্যায়িত করতে থাকেন।

ভিডিও সম্পর্কে জানতে চাইলে সাবেক উপমন্ত্রী সিরাজুল হক বলেন, ‘আমার ছেলের ঘরটি বিএনপির অফিস হিসেবে ভাড়া নেওয়া হয়। তবে গত ২৮ বছর ঘরের ভাড়াও পরিশোধ করা হয় না, ছেড়েও দেওয়া হয় না। আমার ছেলে বাবুর ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ভাড়া পাওনা। ছেলে ভাড়া চাইতে গেলে তাঁকে মারধর করে মামুনের ভাই রেদুয়ান, ভাগনে রুমেল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে রিভলবার সঙ্গে নিয়ে গেছি। সরকার আমাকে লাইসেন্স দিয়েছে সিকিউরিটির জন্য। আমি আমার নিরাপত্তার জন্য অস্ত্র নিয়ে গেছি। আমি খালি হাতে যাব কেন?’

গাদ্দারকে মেরে ফেলার হুমকির বিষয়ে সাবেক এই উপমন্ত্রী জামালপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান আহম্মেদ লোটনের উদ্দেশে বলেন, ‘লোটন আমার পিএ ছিল। আমার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল। এই গাদ্দারের বাপ আছিল পিস কমিটির ট্রেজারার। স্বাধীনতার পরে ন্যাংটা ছিল, গেঞ্জি আর জাইঙ্গা পরে থাকত। ওর বাপ ছিল আমার বাপের বন্ধু। আমি ওকে টাকাপয়সা খরচ করে কলেজের জিএস বানাইছিলাম। অথচ ওর সামনে আমার ছেলেকে মারছে, সে কোনো প্রতিবাদ করে নাই।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদুয়ান বলেন, ‘এটা আমাদের পারিবারিক বিষয়। এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য নেই।’

তবে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, ‘অফিসের ঘরটা তাঁর। এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। তিনি ঘর ছাড়িয়ে নেবেন, এটা তিনি বলতেই পারেন। তবে তিনি যে প্রক্রিয়া অবলম্বন করেছেন, সেটা সঠিক হয়নি।’

ত্রিশালে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষ, নিহত ২

মেয়েকে পরীক্ষাকেন্দ্রে দিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না মায়ের

২৬ বছর পর স্বামী হত্যার বিচার পেয়ে সন্তুষ্ট লাইলী বেগম

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশে ইউএনওর খোলাচিঠি

সাংবাদিক নাদিম হত্যার বিচার দাবি, প্রধান আসামি গ্রেপ্তারে ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা

মসজিদে গিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর ইমু সাব্বির

নেত্রকোনায় যুবকের বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণের অভিযোগ

ভালুকের শরীরে পচন, ময়মনসিংহে আ.লীগ নেতার অবৈধ মিনি চিড়িয়াখানা সিলগালা

নেত্রকোনায় ধর্ষণ থেকে বাঁচতে যুবকের পুরুষাঙ্গ কাটলেন কলেজছাত্রী

জামালপুরে চেক প্রতারণা মামলায় বিএনপি নেতার ৪ মাসের কারাদণ্ড