বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যায়ে সড়ক সংস্কারের জন্য খোঁড়া গর্তে গতকাল সোমবার রাতে মোটরসাইকেল পড়ে মোরশেদুল ইসলাম ইফতি নামের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনের সড়কে বিক্ষোভ করেছেন অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী।
নিহত মোরশেদুল বাকৃবির কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী কেওয়াটখালি এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের কমলাপুর এলাকায়।
বাকৃবিতে অবস্থিত ক্যাম্পাস পুলিশ বাহিনীর (আর্মড ব্যাটালিয়ন) সহকারী উপপরিদর্শক মো. মকবুল হোসেন বলেন, ‘গতকাল রাত ১১টার দিকে বিকট শব্দ হওয়ায় আমরা কয়েকজন টিএসসির সামনে ছুটে যাই। সেখানে মোটরসাইকেলসহ দুজনকে পড়ে থাকতে দেখি। তাঁদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত আড়াইটায় দিকে ইফতি মারা যান। তবে একই মোটরসাইকেলে থাকা বাকৃবির আরেক শিক্ষার্থী হাসিব গুরুতর আঘাত পাননি।’
কৃষি অনুষদের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তৌহিদ চৌধুরী বলেন, ‘টিএসসির সামনের সড়ক সংস্কারের জন্য গর্ত খুঁড়ে রাখা হয়েছে। মেরামতের স্থানে কোনো নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ কারণে বন্ধু ইফতির মোটরসাইকেলটি গর্তে পড়ে গিয়ে সে নিহত হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মুহাম্মদ মহির উদ্দীনকে মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে কল কেটে দেন।
শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক লুৎফুল হাসান বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির লিখিত স্মারকলিপি হাতে পেয়েছি। আমাদের সক্ষমতা অনুযায়ী তাঁদের দাবি মেনে নেওয়া হবে।’