চার বছর বয়সী নাতনিকে কোলে নিয়ে বাড়ির সামনে পুকুরে গোসল করতে নেমেছিলেন ৬৫ বছর বয়সী দাদি। এ সময় দাদির উচ্চ রক্তচাপ উঠলে কোলে থাকা নাতনিসহ দুজনই পানিতে ডুবে মারা যান। আজ সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের বুনিয়াদপুর গ্রামে। মারা যাওয়া দুজন হলেন ওই এলাকার মেসুর উদ্দিনের স্ত্রী সাহেরা (৬৫) খাতুন ও নাতনি জান্নাত (৪)।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পিএসএম মোস্তাছিনুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন দুপুরে সাহেরা খাতুন নামে ওই নারী তাঁর নাতনি জান্নাতকে কোলে নিয়ে বাড়ির সামনে পুকুরে গোসল করতে নামে। এ সময় গোসলে নেমে ওই নারীর উচ্চ রক্তচাপ ওঠে। একপর্যায়ে তাঁর কোলে থাকা নাতনিসহ দুজনেই পানিতে ডুবে যান। দীর্ঘসময় পর গোসল থেকে না ফিরলে পরিবারের লোকজন পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখেন দাদি-নাতনির মরদেহ পুকুরে ভেসে উঠেছে।
এ বিষয়ে নিহত সাহেরা খাতুনের ছেলে ও নিহত শিশু জান্নাতের বাবা সুজন মিয়া বলেন, আম্মার আগে থেকেই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে উচ্চ রক্তচাপের কারণেই পানিতে ডুবে মারা যান তিনি। তাঁর সঙ্গে আমার শিশু মেয়েটিরও মৃত্যু হয়েছে।