জামালপুরের মেলান্দহের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও বেড়েছে পেঁয়াজ ও আলুর দাম। একই সঙ্গে দাম বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি, টমেটো ও গাজরের। তবে দাম কমেছে বেগুন, শিম, ফুলকপিসহ কিছু সবজির।
গতকাল বৃহস্পতিবার মেলান্দহ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-৮৫ টাকা। আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১২০ টাকা। আলু বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকায়, গত সপ্তাহে ছিল ৫০ টাকা।
গত সপ্তাহের তুলনায় শীতকালীন কিছু সবজির দাম কমেছে। বেগুনের দাম কিছুটা কমে ৫৫-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ৮০-৯০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, ছোট-বড় লাউ প্রকারভেদে ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লালশাক, লাউশাক, পাটশাকসহ সব ধরনের শাকের দামই কিছুটা কমেছে।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলেন, গত দুই সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৬০ শতাংশ; গত এক সপ্তাহে বেড়েছে ১৮ শতাংশ। দেশে আলুর বাজার আগে থেকেই চড়া। এক মাস ধরে আলুর দাম প্রতি কেজি ৫০ টাকায় স্থির ছিল। আলু এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়। তবে আলুর দাম কিছুদিনের মধ্যে কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
মেলান্দহ পৌরসভার ফুলছেন্না এলাকার কৃষক আকবর আলী বলেন, ‘আমার জীবনে প্রথম দেখলাম আলুর এত দাম। আগে কখনো ৭০ টাকা কেজি আলু কিনে খাই নাই, এবার খাইতে হইতাছে। এ বছর সবকিছুর দাম বেশি।’
রাজমিস্ত্রির শ্রমিক নাজমুল মিয়া বলেন, ‘আমি রাজমিস্ত্রির হেলপারের কাজ করি আবার রাস্তায়ও কাজ করি। আমার দিনে মজুরি ৪০০ টাকা। সবকিছুরই দাম বেশি, কী থেকে কী কিনমু? আজকের মজুরি নিয়া বাজারে আইছি। আগে কেজিখানি আলু আর আধা কেজি পেঁয়াজ কিনমু। এক কেজি আলুর দাম ৭০ টাকা। আলু তো সব তরকারির সাথে লাগে। এই সময়ে শীতকালীন সব তই-তরকারি (সবজি) নেমেছে। তাও দাম বেশি।’
মেলান্দহ বাজারের ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ বলেন, ‘বড় ব্যবসায়ীরা আলু-পেঁয়াজ আটকে রেখে বাজারে সরবরাহের ঘাটতি তৈরি করছেন। কিছু জরিমানা হওয়ায় হয়তো তাঁদের ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছেন। আবার ভারতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, তাই এখন দাম বেড়েছে।
এ বিষয়ে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেলিম মিঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেসব দোকানে অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি করা হবে, সেই সব দোকানে অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা করা হবে। আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি।’