ময়মনসিংহ সদরে পুলিশ সদস্যের স্ত্রীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় সুজন হাসানকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যৌতুকের টাকার জন্য স্ত্রী মৌসুমী আক্তারকে (২৫) হত্যা করে লাশ ধানখেতে ফেলে রাখে পুলিশ কনস্টেবল সুজন হাসান বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
গ্রেপ্তার সুজন হাসান জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার সৈয়দ গ্রামের এছাহাক আলীর ছেলে। তিনি পুলিশ কনস্টেবল পদে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইনসে কর্মরত আছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কোতোয়ালি মডেল থানা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এর আগে গতকাল বুধবার ভোররাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে পুলিশ সদস্য সুজন হাসানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার নথির বরাত দিয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিরুপম নাগ বলেন, ‘নিহত মৌসুমী জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার চর কালী বাজাইল গ্রামের আমান উল্লাহ’র মেয়ে। ২০১৮ সালে পারিবারিকভাবে পুলিশ কনস্টেবল সুজন হাসানের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সুজন হাসান তাঁর স্ত্রীর কাছে যৌতুকের টাকা দাবি করে।’
‘এ সব নিয়ে তাঁদের পরিবারে কলহ লেগেই থাকত। যৌতুকের টাকার জন্য নির্যাতন করায় ২০১৯ সালে মৌসুমী আক্তার তাঁর স্বামীর নামে আদালতে যৌতুক বিরোধ আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় সুজন হাসান দুই মাস কারাভোগ করেন।’
‘ঘটনার দিন গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৭টার দিকে সুজন হাসান তাঁর শ্বশুর বাড়িতে যায়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সুজন হাসান কৌশলে মৌসুমীকে সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের গোষ্টা পশ্চিমপাড়া নলকুড়িয়া বিলের ধানখেতে নিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে সেখানেই ফেলে রেখে চলে যায়।’
‘পরদিন সকালে সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের গোষ্টা পশ্চিমপাড়া নলকুড়িয়া বিলের ধানখেতে লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।’
‘এই ঘটনায় নিহতের বড় বোন মোছা. আয়েশা আক্তার ওরফে শাহনাজ বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার পর অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে সুজন হাসানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সুজন হাসানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।’