ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে উত্তরের জেলা দিনাজপুর। তীব্র শীত আর ঠান্ডায় কাবু মানুষ। সঙ্গে হিমেল হাওয়া বাড়িয়েছে ভোগান্তি। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না মানুষ। কুয়াশায় চারপাশ ঢেকে থাকায় দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন।
আবহাওয়া কার্যালয়ের তথ্যমতে, আজ বুধবার দিনাজপুরে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৭ শতাংশ এবং বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১ কিলোমিটার। জেলায় চলতি মৌসুমে সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে ঘন কুয়াশায় তীব্র শীত ও হিমেল বাতাসের প্রভাবে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। খেটে খাওয়া মানুষের বাড়ছে দুর্ভোগ। তারা ঠিকমতো কাজে যেতে পারছেন না। ফলে উপার্জনে ভাটা পড়তে শুরু করেছে।
মডার্ন মোড়ে ইজিবাইকের চালক সাজেদুর রহমান বলেন, ‘গত দুই দিন ধরে এত কুয়াশা যে ১০ হাত দূরে আরেকটা কী গাড়ি আছে বুঝতে পারছি না। এ জন্য ধীরে ধীরে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। মানুষের চলাচলও কমে গেছে। আমরা ঠিকমতো যাত্রী না পাওয়ায় কামাই কমে গেছে। এমনিতেই জিনিসপত্রের যে দাম, আয়ও কম। বেশ বিপদে আছি ভাই।’
দিনমজুর মকসেদ আলী বলেন, ‘যে পরিমাণ কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাস, মানুষ বাড়ি থেকে কেমন করে বের হবে? মানুষ ঠান্ডার কারণে কাজ বন্ধ করি রাখছে। আগে দৈনিক আয় করতাম ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। দুই দিন থাকি কামে না পাই। শীত আসলে আমাদের খুব কষ্ট হয়।’
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বুধবার সকাল ৬টায় দিনাজপুরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতের তাপমাত্রা সামান্য কিছুটা বেড়েছে, তবে দিনের তাপমাত্রা বেশ কয়েক ডিগ্রি কমেছে।
তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে এ জেলার দিনের তাপমাত্রা ২৭ থেকে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল, যা গতকাল ২১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় নেমে এসেছে। গতকাল মঙ্গলবার এ জেলার দিনের তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ছিল। আজ রাতের তাপমাত্রা দেশের সর্বত্র ১ থেকে ২ ডিগ্রি হ্রাস পেতে পারে।