দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সাতখামার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের শ্রেণিকক্ষ ভুট্টার গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করছেন খোদ প্রধান শিক্ষক নিতাই সাহা।
বিষয়টি জানতে পেরে আজ সোমবার দুপুর ১টায় ওই বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কন্দর্প নারায়ণ রায়। পরিদর্শন শেষে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বিকেল ৪টা পর্যন্ত পাঠদান করার কথা থাকলেও সাতখামার উচ্চ বিদ্যালয়ের সব কক্ষ তালাবদ্ধ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর কাউকে পাইনি। পরে প্রধান শিক্ষককে বারবার ফোন দেওয়ার পরেও তিনি রিসিভ করেননি। এ সময় একজন শিক্ষককে ডেকে এনে প্রধান শিক্ষককের রুমে বসতে হয়েছে। লোক মারফত প্রধান শিক্ষক নিতাই সাহাকে ডেকে আনা হয়।’
স্কুলঘরে ভুট্টার রাখার ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘ঘরে ভুট্টা থাকার কারণে স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। বিদ্যালয়ে সভাপতির নির্দেশে ভুট্টা রাখতে আমি বাধ্য হয়েছি।’
শিক্ষা কর্মকর্তা কন্দর্প নারায়ণ রায় বিদ্যালয়ের জাতীয় পতাকার বেহাল দশাসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি বেশ পুরোনো ও ছিঁড়ে গেছে। এ অবস্থা দেখে প্রধান শিক্ষককে তিরস্কার করেন তিনি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ও অভিভাবকেরা জানান, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ছাড়া প্রধান শিক্ষক ঠিকমতো স্কুলে আসেন না। শিক্ষার বেহাল দশা।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয় কমিটির সভাপতির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি।