নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ি ইউনিয়নের হরতকীতলা এলাকায় স্ত্রী, দুই মেয়ে ও শাশুড়িকে কুপিয়ে নিজেরও পেট কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন জিয়াউল ইসলাম জিয়া (৩৮) নামের এক ব্যক্তি। এ সময় অস্ত্রের কোপে তাঁর স্ত্রী রত্না বেগম (২৫), তিন বছরের মেয়ে ইয়াছমিন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় জিয়া, ১৪ দিনের মেয়ে, শাশুড়ি বিলকিস বেগমকে (৪০) গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। তবে জিয়াউর রহমান অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আজ বুধবার দুপুরে এ ঘটনাটি ঘটে। জিয়াউর একই ইউনিয়নের চান্দিনা পাড়া এলাকার শমারু মাহমুদের ছেলে।
বোড়াগাড়ি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অশ্বনী কুমার রায় জানান, দীর্ঘদিন থেকে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গন্ডগোল চলছিল। আজ (বুধবার) দুপুরে জিয়া আর তাঁর স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। জিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে তার স্ত্রী, এক মেয়ে, শাশুড়িকে ছুরি দিয়ে কোপ দেয়। আর ১৪ দিনের শিশু সন্তানকে পানিতে ফেলে দিয়ে নিজের পেটে ছুরি দিয়ে কোপ মেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ সময় ঘটনাস্থলেই স্ত্রী রত্না বেগম ও মেয়ে ইয়াছমিনের মৃত্যু হয়। পুলিশ গুরুতর আহত অবস্থায় জিয়া, তাঁর শাশুড়ি ও ১৪ দিনের শিশু সন্তানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। জিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘তিনজনকে আহত অবস্থায় ও দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।’