সিলেটের জৈন্তাপুরের পাথর ব্যবসায়ী শামসুল মাওলার দায়ের করা প্রতারণার চারটি মামলার আরও একটিতে খালাস পেয়েছেন আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম। ৩০ লাখ টাকার মামলা ২২ লাখ টাকায় আপসে নিষ্পত্তির মাধ্যমে বাকি মামলাগুলোতেও খালাস পেতে পারেন তিনি।
আজ সোমবার সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালত থেকে সাহেদ খালাস পান। বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি মো. আবদুস সাত্তার।
আবদুস সাত্তার জানান, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে সিলেটের পাথর ব্যবসায়ী শামসুল মাওলার দায়ের করা তিনটি চেকের মামলা ও একটি সিআর মামলা (প্রতারণা ও জালিয়াতি) মধ্যে চেকের মামলার পুরো টাকা ও সিআর মামলার আংশিক টাকা পরিশোধ সাপেক্ষে মামলাগুলো আপসে মীমাংসার সিদ্ধান্ত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ সর্বশেষ কিস্তির টাকা বাদীকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। পরে আদালতে বিষয়টি উত্থাপন করলে বিচারক বাদী ও বিবাদীপক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শুনে আসামিকে বেকসুর খালাসের রায় ঘোষণা করেন। ৩০ লাখ টাকার মামলা মোট ২২ লাখ টাকায় নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত হয়। চেকের আরও দুটি মামলার পুরো টাকা দেওয়ায় ৪ এপ্রিল সাক্ষীদের জবানবন্দি নিয়ে আদালত আদেশ দেবেন। চেকের অপর মামলাটি আগেই নিষ্পত্তি হয়েছে।
এর আগে ২০২০ সালের ৪ মার্চ সিলেট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে সাহেদের বিরুদ্ধে ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকার তিনটি প্রতারণা মামলা ও ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সিআর মামলা দায়ের করেন জৈন্তাপুরের পাথর ব্যবসায়ী মাওলা স্টোন ক্রাশার মিলের স্বত্বাধিকারী শামসুল মাওলা।