গত তিন দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৬টা পর্যন্ত সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, যেভাবে প্রতিদিন বৃষ্টিপাত হচ্ছে, এভাবে চলতে থাকলে বৃহস্পতিবার রাতে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। তিনি বলেন, ‘সুনামগঞ্জ-সিলেট অঞ্চলে প্রতিদিনই গড়ে ১৫০ থেকে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ভারতের চেরাপুঞ্জিতেও বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সাময়িক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।’
অন্যদিকে সুনামগঞ্জের সুরমা নদী, যাদুকাটা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারও বন্যার শঙ্কায় আছেন নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা।
যাদুকাটা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। তবে এখনো বাসা বাড়িতে পানি প্রবেশ করেনি। সুনামগঞ্জ তাহিরপুর সড়কের শক্তিয়ারখলা নামক স্থানে ১০০ মিটার সড়ক ডুবে গেছে। ফলে এই সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করছে।
এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী তাহিরপুর উপজেলার সোলেমানপুর গ্রামের বাসিন্দা মোনসেফ আলী বলেন, ‘সামান্য বৃষ্টি হলেই আমরা চরম দুর্ভোগে পড়ে যাই, সড়ক ডুবে যায়। আমরা চলাচল করতে পারি না। এ থেকে পরিত্রাণ চাই আমরা।’
প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বন্যা মোকাবিলায় সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।