জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেছেন, ‘যদি দুর্নীতি ও অর্থ বিদেশে পাচার না হতো তাহলে আমরা সামনের দিকে আরও এগিয়ে যেতে পারতাম। বিদেশে অর্থ পাচার হওয়ার কারণে আমাদের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।’
মিজানুর আরও বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি করি, যারা অর্থপাচার করেছে, যারা দুর্নীতিগ্রস্ত, তাঁদের যেন কোনো ছাড় দেওয়া না হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে যেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
আজ রোববার সিলেট নগরের একটি অভিজাত হোটেলের কনফারেন্স হলে এমপাওয়ারমেন্ট থ্রু ল অব দ্য কমন পিপল (এলকপ) আয়োজিত একটি সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মিজানুর এসব কথা বলেন।
নির্বাচনের আগে-পরে সহিংসতা যেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক একটা সংস্কৃতি হয়ে গেছে উল্লেখ করে মিজানুর বলেন, ‘এটা সংস্কৃতি নয় অপসংস্কৃতি। এখান থেকে আমাদের মুক্তি পেতেই হবে। সুতরাং যেসব বিদেশি বন্ধু আমাদের গণতন্ত্রের জন্য এত উপদেশ দেন, তাঁদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা রাজনৈতিক দলগুলোকে একটি বার্তা দেবেন সেটি হলো একটি গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় সহিংসতা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।’
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক এই চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিগুলো বঞ্চিত মানুষের জন্য কী কী পরিকল্পনা করছে সেটা যেন প্রকাশ হয়। চা-শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধসহ সব তৃণমূল জনগোষ্ঠীর দাবি আমরা শুধুমাত্র মন্ত্রণালয়ে নয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে জানাব।’
সেমিনারে বক্তব্য দেন এলকপের প্রিন্সিপাল রিসার্চ কনসালট্যান্ট মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর। এতে স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন এলকপের চেয়ারম্যান ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান। এ ছাড়া মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রধান গাজী সাইফুল হাসান সিলেট বিভাগের চার জেলা থেকে আগত স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা করেন। এতে অংশ নেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তরিকুল ইসলাম, পেশ ইমাম কারি মাওলানা মো. আব্দুল করিম, ফাদার যোসেফ গমেজ, ডক্টর বাব্লি সিনহা, অ্যাডভোকেট বাপ্পা গোস্বামী, বাপা সিলেটের সভাপতি জামিলুর রেজা চৌধুরী প্রমুখ।