সিলেটের গোয়াইনঘাটে একটি মসজিদের পুকুর থেকে ওই মসজিদের ইমামের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে মরদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে উপজেলার পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নের পুকাশ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
মৃত ইমামের নাম—মাওলানা মো. আলাউদ্দিন (৪০)। তিনি উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নের কুনকুড়ি গ্রামের মো. কালা মিয়ার ছেলে। আলাউদ্দিন ওই মসজিদের পেশ ইমাম ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছে, মাওলানা আলাউদ্দিন কয়েক বছর ধরে ওই মসজিদের পেশ ইমামের দায়িত্ব পালন করছিলেন। সেই সুবাদে প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালেও তিনি মসজিদের পুকুর ঘাটে গোসল করতে এবং কাপড় কাঁচতে যান।
এরপর দীর্ঘ সময় ধরে পুকুর ঘাটে কাপড়-চোপড় পরে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন তাঁকে ডাকাডাকি করেন।
দীর্ঘক্ষণ কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তাঁরা মসজিদ ও এর আশপাশে খুঁজতে থাকেন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে কয়েকজন মিলে পুকুরে নামলে পানিতে ডুবন্ত অবস্থায় ইমাম সাহেবকে উদ্ধার করেন। এরপর তাঁরা দ্রুত ইমামকে গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
এ দিকে ইমাম আলাউদ্দিনের প্রতিবেশী ও রুস্তমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মুজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, আলাউদ্দিন সাঁতার জানতেন বলে তাঁর বাবা ওই সদস্যকে জানিয়েছেন। এরপরও ঠিক কী কারণে তিনি পানিতে ডুবে মারা গেলেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা।
মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে উল্লেখ করে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মৃত্যুর মূল রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থাও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’