হবিগঞ্জ-২ আসনের (বানিয়াচং আজমিরীগঞ্জ) জাতীয় পার্টির প্রার্থী শংকর পাল প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তিনি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
আজ সোমবার শংকর পালের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশের অভাব রয়েছে। আছে ক্ষমতাসীনদের পেশিশক্তির প্রভাব। দেশের বিভিন্ন স্থানে যেভাবে সংঘর্ষ, সংঘাত চলছে এতে নিজের ও সমর্থকদের জানমাল রক্ষা করা কঠিন।
শংকর পাল বলেন, ‘উপরিউক্ত কারণে বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জে প্রচারণা থেকে বিরত রয়েছি। ইতিমধ্যে সমর্থকদের জানিয়ে দিয়েছি লাঙল ছাড়া তাঁদের পছন্দের যেকোনো প্রার্থীকে যেন ভোট দেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ ও তাঁর গড়া জাতীয় পার্টিকে ভালোবাসি বলে এখনো দল করি। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগের সমর্থিত পোস্টার ছাপিয়ে ভোট চাওয়ার লোক আমি নই। তাহলে দলের অবস্থান কোথায় থাকল? আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে সাধারণ মানুষের ভোট পাওয়া যাবে না।’
শংকর পাল দলের শীর্ষ নেতাদের সমালোচনা করে বলেন, ‘গত নির্বাচনে আমার এজেন্টকে নানাভাবে নাজেহাল করা হয়েছে। কোনো কারণ ছাড়াই দোকান থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। এর জবাব আজও পাইনি। এবারের নির্বাচনেও যে তা হবে না এর নিশ্চয়তা কোথায়?’
‘সম্প্রতি হবিগঞ্জে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমানের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বলেছি, নির্বাচন করতে প্রার্থী হইনি। সাক্ষী হয়ে দেখতে চাই আপনারা কতটুকু সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করছেন। যদি নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তাহলে আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।’ যুক্ত করেন শংকর পাল।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, এ আসনে আওয়ামী লীগ, একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।