শেখ নাইমুর রশিদ লিখন
বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় মোট ২০০ নম্বর থাকে। এর মধ্যে গাণিতিক যুক্তিতে ১৫ এবং মানসিক দক্ষতায় ১৫ নম্বর থাকে। নিয়মিত চর্চা এবং কিছু কৌশল অবলম্বন করলে এই ৩০ নম্বর নিশ্চিতের পাশাপাশি প্রিলিমিনারি পাসের দৌড়ে এগিয়ে থাকা যায়।
গাণিতিক যুক্তির সিলেবাস ও মানবণ্টন
গাণিতিক যুক্তিতে মোট ১৫ নম্বর থাকে। এর মধ্যে পাটিগণিতে ৩ নম্বর, বীজগণিতে ৬ নম্বর, জ্যামিতিতে ৩ নম্বর এবং বিচ্ছিন্ন গণিতে ৩ নম্বর থাকে।
প্রয়োজনীয় বই
১. ৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণির গণিত বোর্ড বই
২. ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত ও উচ্চতর গণিত বোর্ড বই
৩. খাইরুলস বেসিক ম্যাথ/আশরাফুলস ম্যাথ ককটেল
ভালো করার কৌশল
নিয়মিত চর্চায় রাখতে হবে। সপ্তাহে অন্তত ৩-৪ দিন ১-২ ঘণ্টা করে গণিত প্র্যাকটিস করতে হবে। প্রয়োজনীয় সূত্রগুলো মুখস্থ রাখতে হবে। প্রিলিমিনারির জন্য দ্রুত অঙ্ক করা শিখতে হবে এবং স্টেপ বাই স্টেপ ও শর্টকাট টেকনিক ব্যবহার উভয়ই শিখতে হবে। প্রয়োজনীয় সূত্র ও গুরুত্বপূর্ণ অংক-সংবলিত একটি নোট খাতা তৈরি করতে হবে।
বিগত পরীক্ষাগুলোতে আসা গণিতের প্রশ্নসমূহ সমাধান করতে হবে। নিজের দুর্বলতা খুঁজে বের করে সেই অধ্যায়গুলো অধিক অনুশীলন করতে হবে। কোনো অঙ্ক মুখস্থ না করে বুঝে বুঝে করা শিখতে হবে। পূর্বের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় আসা অধ্যায়ভিত্তিক প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে বেশি ও কম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় শনাক্ত করতে হবে। পাশাপাশি সে অনুযায়ী সময় বণ্টন করে অনুশীলন করতে হবে।
কোনো চ্যাপ্টারের অনুশীলন সম্পন্ন হলে মডেল টেস্ট বই বা অনলাইনে পরীক্ষা দিতে হবে এবং পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নেওয়ার পর গণিতের ওপর ১০০ নম্বরের কয়েকটি ফুল মডেল টেস্ট দিতে হবে। পরীক্ষার হলে ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যায় না। তাই ক্যালকুলেটর ছাড়াই সমাধান করা শিখতে হবে এবং নিয়মিত অনুশীলন করতে হবে। পরীক্ষার হলে গণিত অংশ শেষে উত্তর করা ভালো। কোনো প্রশ্নের উত্তর না পারলে ঘাবড়ে না গিয়ে এবং অধিক সময় নষ্ট না করে, দ্রুত পরের প্রশ্নে চলে যেতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়সমূহ
মানসিক দক্ষতা
মানসিক দক্ষতায় ১৫ নম্বর থাকে। এর মধ্যে ভাষাগত যৌক্তিক বিচার (Verbal Reasoning), সমস্যা সমাধান (Problem Solving), বানান ও ভাষা (Spelling and Language), যান্ত্রিক দক্ষতা (Mechanical Reasoning), স্থানাঙ্ক সম্পর্ক (Space Relation), সংখ্যাগত ক্ষমতা (Numerical Ability)।
প্রয়োজনীয় বই
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ
কোডিং ও ডি কোডিং, শুদ্ধ বানান, চিত্রে যৌক্তিক সংখ্যা বসানো, বিভিন্ন চিত্র নির্ণয় করা, ভগ্নাংশ নির্ণয় (ছোট/বড়), আয়নায় প্রতিফলন, পানিতে প্রতিফলন, সিরিজ সম্পন্নকরণ, দিক নির্ণয়, বিভিন্ন যন্ত্রের ব্যবহার, সাদৃশ্য (Analogy), শূন্যস্থান পূরণ, পঞ্জিকাসংক্রান্ত সমস্যা, বৈসাদৃশ্য, সংখ্যার ওপর বিভিন্ন ধাঁধা, ক্যালেন্ডার সম্পর্কিত (দিন, তারিখ, বছর নির্ণয়), ভারসাম্য রক্ষা করা, সাধারণ জ্ঞান, রক্তের সম্পর্ক নির্ণয়, ঘড়িসংক্রান্ত সমস্যা, এলোমেলো অক্ষর থেকে শব্দ তৈরি, পরিভাষা, সমার্থক ও বিপরীতার্থক শব্দ (ইংরেজি ও বাংলা), বর্ণ/ধ্বনি চ্যাপ্টার (ইংরেজি ও বাংলা), সিদ্ধান্ত গ্রহণের সামর্থ্য, জ্যামিতি ইত্যাদি অধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ।