গাজীপুরের শ্রীপুরে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আজ বুধবার বেলা ১২টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত কমিটি।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে পুলিশ সদস্যসহ দুজনকে অভিযুক্ত করে শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নিহত যুবকের বড় ভাই মাসুম।
গাজীপুরের শ্রীপুরে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে যুবক নিহতের ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ দু'জনকে অভিযুক্ত করে হত্যার অভিযোগ এনে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে নিহত যুবকের বড় ভাই মাসুম।
নিহত যুবক মামুন (১৯) উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরামা গ্রামের মো. নূরুল ইসলামের ছেলে। অভিযুক্তরা হলেন, শ্রীপুর থানার কর্মরত পুলিশের উপসহকারী পরিদর্শক মো. শাকিল আহমেদ, বরমী ইউনিয়নের বরমা গ্রামের পুলিশের সোর্স মো. রওশন (৩৫)।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তরা নিহত মামুনকে মারধর করে ২০ ফিট ওপর থেকে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়। এরপর জীবন বাঁচাতে মাঝ নদী পর্যন্ত সাঁতার কেটে যাওয়ার পর ডুবে যায়। এরপর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল অনেক খোঁজা খুঁজি করেও মরদেহের সন্ধান পায়নি। পরবর্তীতে গত ৫ এপ্রিল মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে এক কিলোমিটার দূরে মামুনের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূইয়া বলেন, নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় নিহত যুবকের বড় ভাই বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত রিপোর্টে পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাজীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপরাধ মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, তদন্ত কমিটির অন্যান্য সদস্য নিয়ে আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে তদন্ত রিপোর্টে জমা দেওয়া হবে। তদন্ত রিপোর্টে পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত রোববার বিকেল পৌনে ৪টায় দিকে বরমী ইউনিয়নের বরমা গ্রামে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে মামুন নামে এক মামলা আসামি নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনার দুদিন পর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।