Ajker Patrika

মাদারীপুরে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় স্কুলশিক্ষক কারাগারে

মাদারীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৯: ২৬
জসিম ব্যাপারী। ছবি: সংগৃহীত
জসিম ব্যাপারী। ছবি: সংগৃহীত

মাদারীপুরে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জসিম ব্যাপারীকে পুলিশ গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম।

গ্রেপ্তার জসিম ব্যাপারী মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার ১১৫ নম্বর আলহাজ সৈয়দ আতাহার আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। একই উপজেলার পূর্ব কমলাপুর গ্রামের সোমেদ ব্যাপারীর ছেলে।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে জসিম ব্যাপারীর ব্যবহৃত মোবাইলে অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তার নাম ও ছবি ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একাধিকবার আপলোড করা হয়। সেখানে ভুয়া গেজেট তৈরি করে অপপ্রচারের পরিকল্পনা করেন। জননিরাপত্তা নষ্ট করার পাশাপাশি সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার পাঁয়তারা করেন অভিযুক্ত জসিম ব্যাপারী।

এরপর ১৩ মার্চ রাতে ডাসারের একটি ভাড়া বাসা থেকে তাঁকে আটক করে ডাসার থানার পুলিশ। পরে ডাসার থানার এসআই (উপপরিদর্শক) আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে থানায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১৪ মার্চ তাঁকে আদালতে তোলা হয়। আদালতের বিচারক ওই শিক্ষককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ১৬ মার্চ ওই শিক্ষককে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

অভিযুক্ত শিক্ষকের বড় ভাই ইলিয়াস ব্যাপারী বলেন, ‘আমার ভাইকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। আমার ভাই রাষ্ট্রদ্রোহ কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়। তাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে পুলিশ মামলায় জড়িয়েছে। একজন শিক্ষক সমাজের মেরুদণ্ড। সেই মেরুদণ্ডকে পুলিশ মামলা দিয়ে এভাবে গ্রেপ্তার করবে বুঝতে পারিনি। আমরা তার দ্রুত মুক্তি চাই।’

মাদারীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সহকারী শিক্ষক জসিম ব্যাপারী রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ১৩ মার্চ গ্রেপ্তার হন। বিষয়টি জানার পর ১৬ মার্চ তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রাথমিক অধিদপ্তর। মামলা চলাকালে তিনি শুধু খোরাকি ভাতা পাবেন।

ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ এহতেশামুল ইসলাম বলেন, শিক্ষককে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। পূর্ণ তদন্ত শেষ হলে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হবে। এ ছাড়া তাঁকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিজ্ঞ আদালত। রিমান্ডে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও পাওয়া গেছে।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ওই শিক্ষককের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়া গেলে পরবর্তী সময়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত